নূরে আলম সিদ্দিকী: বাংলাদেশে কিংবদন্তি একটি প্রবাদ আছে- ‘ভূতের পা পেছনে’। ভূত উল্টো দিকে অর্থাৎ পেছন দিক দিয়ে হাঁটে। কিন্তু ইদানীং বিস্ময়াভিভূত হয়ে লক্ষ্য করি, আমাদের অর্জিত সাফল্যগুলো নিঃশব্দে পেছনে হাঁটতে শুরু করেছে। পাকিস্তান আমলে আমরা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়েছি, স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে লড়েছি। জিন্নাহ সাহেব তাঁর পারিবারিক উত্তরাধিকার রেখে যাননি। শেরেবাংলা এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও উত্তরাধিকারিত্বের কোনো বীজ বপন করেননি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর একমাত্র মেয়ে মিসেস সোলায়মান আক্তার- আমাদের বেবী আপা নিতান্তই ঘরোয়া জীবনযাপন করেছেন। তাঁর পুত্রসন্তান রাশেদ সোহরাওয়ার্দী, তিনিও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। তিনি ব্যারিস্টার হয়েছিলেন বটে, কিন্তু রাজনীতিতে মাখামাখি করেননি। কাকরাইলের বাসায় যখন হীরু ভাই (ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন) সপরিবারে অবস্থান করতেন, তখন বেগম সোলায়মান আক্তারের সঙ্গে ওঠাবসা করার প্রভূত সুযোগ বাকী ভাই ও আমার হয়েছিল। ওবায়েদ ভাইও কাকরাইলের আড্ডায় প্রায়ই আসতেন।
একদিনের একটি প্রচন্ড ছেলেমানুষি আজও আমার স্মৃতিকে নাড়া দেয়, অনুভূতিতে শিহরণ তোলে। হীরু ভাই, সাজু ভাবী (ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্ত্রী) ও মিসেস সোলায়মান আক্তার সমভিব্যহারে আমরা নারায়ণগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলাম। অনেক রাত, রাস্তা ফাঁকা। আর তখন তো এত জ্যাম ছিল না। আমিই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। একটা ফাঁকা লম্বা রাস্তা পেয়ে আমি খুব জোরে এক্সিলেটরে পা দিলাম। মিসেস সোলায়মান আক্তার বেবী আপা ভালো বাংলা বলতে পারতেন। তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন- ‘অ্যাই আলম, কর কী? আমাদের সবাইকে কি মেরে ফেলবে?’ আমার মাথায় দুষ্টুমির ভূত চেপে গেল। অনুভূতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে একটা পুলক নেচে উঠল। আমি বললাম- বেবী আপা, বলেন, ছয় দফা সমর্থন করেন কি না? নইলে শুধু দুর্ঘটনা নয়, গাড়িটি বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেব। আমাদের সবার সলিলসমাধি হয়ে যাবে। বেবী আপা কৌতুকটি বুঝতে পারেননি। আঁতকে উঠে বললেন, ‘বল কী! আমাদের সবাইকে কি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মেরে ফেলবে?’ আমি আরও উৎসাহিত হয়ে উদ্দীপ্ত হৃদয়ে বলেছিলাম- গাড়ি আমি আস্তে চালাতে পারি, তবে আপনাকে ওয়াদা করতে হবে ছয় দফার সমর্থনে আপনি বিবৃতি দেবেন। বেবী আপা কপট ও কৃত্রিম ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে বললেন, ‘মানুষকে জিম্মি করে ছয় দফার সমর্থন আদায় করতে চাও? তাহলে জীবন রক্ষার খাতিরে তোমার কথা মেনে নিয়ে পরবর্তীতে যদি আমি অস্বীকার করি।’ তখন ত্বরিত গতিতে আমি উত্তর দিয়েছিলাম- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রক্ত আপনার ধমনিতে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সোহরাওয়ার্দীর জীবনের আদর্শ হলো একবার একটা ওয়াদা করলে সারা জীবন তিনি তা রক্ষা করতেন প্রত্যয়দীপ্ত মননশীলতায়। বোধ করি, কথাটা বেবী আপার মনে ধরেছিল। তাঁর হৃদয়ের নিভৃত কন্দরের নির্মল ও নিষ্কলুষ অনুভূতিতে কথাটা প্রচ-ভাবে স্পর্শ করেছিল। আজও স্পষ্ট মনে পড়ে, প্রয়াত পিতার স্মৃতিতে উদ্ভাসিত তাঁর চেহারা যেন জ্বলজ্বল করে উঠেছিল। অশ্রুসজল কম্পিত কণ্ঠে বেবী আপা বলেছিলেন, ‘আমি প্রাণ দিয়ে ছয় দফাকে সমর্থন করব, বিবৃতি দেব। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের (তখনো তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হননি) সঙ্গে ফোনে কথা বলব, আমি ছয় দফার প্রশ্নে যে কোনো কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করতে রাজি আছি।’
আমি জানতাম, জনাব সোলায়মান ও বেবী আপার সঙ্গে মুজিব ভাইয়ের সম্পর্ক খুবই নিগূঢ় ও অন্তরঙ্গ ছিল। বেবী আপা পরবর্তীতে ছয় দফার প্রশ্নে এতখানি নিবেদিত হয়ে যান যে ছয় দফার প্রশ্নে অনেক নেতাকে সমর্থন প্রদানের জন্য পীড়াপীড়ি করেন এবং তাঁরই পীড়াপীড়িতে পশ্চিম পাকিস্তানের বাকি বেলুচ ছয় দফাকে সমর্থন করেন। বেবী আপা ছয় দফার প্রচার ও বিশ্লেষণের লক্ষ্যে লাহোরের মোচি গেট, করাচিসহ পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পশ্চিম পাকিস্তানে মুজিব ভাই যখন ব্যাপক ঝটিকা সফরে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন ভুট্টো সাহেব কোনো এক সভায় ঘোষণা দেন- ‘মুজিবকা লহুসে হোলি খেলেঙ্গে’। মুজিব ভাইও এ কথার তীক্ষè ও তির্যক জবাব দিয়েছিলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের জনসভাতেই- ‘ভুট্টো সাহেব, হোলি খেলবেন কোন রক্ত দিয়ে? ও তো সব আপনারা চুষে খেয়েছেন। রক্ত দিয়ে হোলি খেলতে চাইলে আপনাদেরই রক্তবমি করতে হবে। বাঙালির বুকে হোলি খেলার মতো পর্যাপ্ত রক্ত নেই।’ এ ক্ষিপ্র ও ত্বরিত উত্তরটি পশ্চিম পাকিস্তানেও শেখ মুজিবের ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছিল।
পশ্চিম পাকিস্তানে ঝটিকা সফরের সময় এক সাংবাদিক মুজিব ভাইকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাও? মুজিব ভাই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জবাব দিয়েছিলেন- ‘নট ইয়েট’। এর অনেক পরের ঘটনা, বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আমিও সাড়ে তিন বছর পর কারাগারের চার দেয়াল থেকে বেরিয়ে এসেছি। কোনো একদিন এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে একটু বেকায়দায় ফেলার জন্য প্রশ্ন করলেন, Do you want separation of East Pakistan?. বঙ্গবন্ধু স্মিত হেসে জবাব দিয়েছিলেন, I want emancipation of East Pakistan. আমার কেন জানি না আজও মনে হয়, বাকশাল করার আগ পর্যন্ত আল্লাহর একটা অশেষ রহমত তাঁকে ঘিরে রাখত। ভ্রান্ত বামের কুটিল চক্রের প্রভাবে পড়ে বঙ্গবন্ধু যখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, তখনই শুরু হয় দুর্ভোগ। গ্রামবাংলায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, সৌভাগ্যবান বা ভাগ্যবান ছাই ধরলে সেটি সোনা হয়ে যায়। আবার অভাগা সোনা ধরলে সেটি ছাই হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আমি বিনম্র চিত্তে বলতে চাই, বামেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি। তবে ভ্রান্ত বাম রাজনীতির প্রবর্তকরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর অজান্তেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। উগ্র বিপ্লবের উচ্চাভিলাষী জাসদের রাজনীতি যখন পাট ও খাদ্য গুদামে আগুন, অস্ত্র লুণ্ঠন, এমপি হত্যার নৃশংসতায় মেতে ওঠে, তখনই বঙ্গবন্ধু-হত্যার পটভূমি সৃষ্টি হয়। আমার এখনো মনে হয়, অশীতিপর বয়সেও আমার মানসপটে যে কথাটি বারবার ভেসে ওঠে, তা হলো- বাকশাল না হলে ১৫ আগস্টের মতো মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটনে ২৬ জন দুরাচার পাপিষ্ঠ ও নিষ্ঠুর কলঙ্কিত চরিত্র সক্ষম হতো না।
জাসদ এখন খন্ডবিখন্ড ক্ষয়িষ্ণুপ্রায় একটি দল। দলটি আজ নিঃশেষিত ও মুমূর্ষুপ্রায়। কিন্তু পরাজিত পাকিস্তানপন্থি শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে দলটি যখন দৃশ্যত প্রচ- শক্তিশালী, তখন অস্ত্র এবং দম্ভ আর সশস্ত্র রাজনীতির আক্রমণ ও আঘাতে সদ্যোজাত স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শিশুটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। বাকশাল গঠনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের (সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী পরিষদের) সংযুক্ত অধিবেশনে আমি যে দীর্ঘ বক্তৃতাটি করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু না চাইলে অতটুকু সময় ও সুযোগ আমি পেতামই না। সেদিন আওয়ামী লীগের অনেকেই, এমনকি তাজউদ্দীন ভাই স্বয়ং ধরেই নিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুই আমাকে দিয়ে ওই বক্তৃতাটি করিয়েছিলেন, একটা বিকল্প বিরোধী দৃষ্টান্ত রাখার জন্য। আসলে ব্যাপারটি একান্তই আমার ছিল। যদিও বঙ্গবন্ধু আমার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই নেননি। শুনলে আশ্চর্যান্বিত হতে হয়- জেনারেল ওসমানী এবং হীরু ভাইয়ের পদত্যাগটিকেও তিনি চেপে যেতেই চেয়েছিলেন। আমার মতোই তাঁদের আসন দুটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়নি। এ ঔদার্য, হৃদয়ের এ বিশাল বিস্তীর্ণ প্রকাশ অস্ত্রের ঝঙ্কারে প্রকম্পিত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে চুয়াত্তরের খরায় দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশকে তাঁকে মোকাবিলা করতে হয় বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত ও শঙ্কিত হৃদয়ে। তখনই গলব্লাডারের স্টোনের অস্ত্রোপচারের জন্য আমেরিকাও অনীহা প্রকাশ করলে তিনি অস্ত্রোপচারের জন্য লন্ডনে যেতে বাধ্য হন। মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর মননে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, সাড়ে তিন বছর তিনি কিছু দিতে পারবেন না বলে জনগণকে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা তো শেষ হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা ও দেশকে অগ্রগতির দিকে টেনে নিতে হলে তাঁর আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন। এ প্রয়োজনের তাগিদেই হয়তো তাঁকে বাকশাল করতে উদ্বুদ্ধ ও প্ররোচিত করা হয়েছিল। ভাবলে অনুভূতিটা কুঁকড়ে কেঁদে ওঠে, যে নেতাকে ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতারের পর পাকিস্তানি নেতৃত্ব বাংলাদেশে রাখতে সাহস পায়নি। যে কারণে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে অবরুদ্ধ করা হয়। এটাই নিখাদ সত্য যে তাঁকেই মূর্তপ্রতীক ধরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ চলে এবং স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যটিকে বাংলার সূর্যসৈনিকরা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
এখানে উল্লেখ করতে চাই, প্রবাসী সরকারের বিরুদ্ধে কুটিল ষড়যন্ত্রকারীরা অপবাদ রটানোর অপচেষ্টা করেছিল- প্রবাসী সরকার, বিশেষ করে তাজউদ্দীন সাহেব বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চান না। আমি ছাত্রলীগের সহযোদ্ধাদের নিয়ে এ অপবাদটির প্রচ- বিরোধিতা করি এবং বঙ্গবন্ধুকেও পরবর্তীতে বোঝাতে চেষ্টা করি যে তাঁর নেতৃত্বের প্রশ্নে প্রবাসী সরকার, বিশেষ করে তাজউদ্দীন ভাই দ্বিধাদ্বন্দ্বহীন ও নিঃসংশয় চিত্ত ছিলেন। এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ক্লেষ ও কপটতা তাঁদের হৃদয়ে ছিল না।
সদ্যই আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পেরিয়ে এলাম। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি, অনাড়ম্বর আয়োজনে এ সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পর্বটি শেষ হলেও কোথাও কোনো আলোচনা, পর্যালোচনায় সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের কারও কণ্ঠেই তাজউদ্দীন সাহেবসহ প্রবাসী সরকারের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় কার্যক্রম- কোনো কিছুই প্রতিভাত হয়নি। বেমালুম বিস্মৃতির অতল গহ্বরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এটি আমার মতো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক উদ্গত ও উদ্বেলিত হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। স্বাধীনতার ইতিহাসের এ বিকৃত উপস্থাপনা সেদিনের সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ-ভাবে মর্মাহত করলেও অবস্থার প্রেক্ষাপটে কেউ হৃদয়ের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রকাশ করতে সাহস পাননি। ছাত্রলীগের বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার উদাত্ত আহ্বান- তোমাদের পূর্বসূরিদের সোনালি অর্জন তোমাদের আগামী দিনের পথচলার পাথেয়। তোমরা যদি নির্ভীক চিত্তে অকুতোভয়ে ইতিহাসকে লালন করতে পার, তবেই তোমাদের পথচলা সার্থক ও নির্মল হয়ে উঠবে। অন্যথায় শুধু ইতিহাসই মুখ থুবড়ে যাবে না, তোমাদের আগামী দিনের চলার পথও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যাবে।
আমি জীবনসায়াহ্নে এসে তোমাদের আশীর্বাদ করে যাব, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের প্রদীপ্ত সূর্য তোমাদের ওপর আলো ছড়াক। আজকের ছাত্রলীগেরই একক নৈতিক দায়িত্ব সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা এবং আজকের প্রজন্মকে অতীত সাফল্যের আলোকরশ্মিতে উদ্ভাসিত করা।
লেখক : স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন