৩৪ বছর ধরে লটারি কিনছিলেন এক ব্যক্তি। আশা কোটিপতি হবেন। শেষমেশ স্বপ্নপূরণ হলো তার। আড়াই কোটির লটারি জিতলেন ভারতের পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা জেলার বাসিন্দা রোশন সিং। তিনি পাঞ্জাব স্টেট ডিয়ার লটারি জিতেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, রোশন সিং কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি রোজগার করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু, তার নজর ছিল কোটি টাকার দিকে। এরপরেই তিনি লটারি কাটার সিদ্ধান্ত নেন। এতদিন পর্যন্ত টিকিট কেটে তিনি কখনও ১০০ আবার কখনও ২০০ টাকা পেয়েছেন। কিন্তু, তার জন্য যে জ্যাকপট অপেক্ষা করছে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানের মালিকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এরপর নিজের দোকান খুললেও পর্যাপ্ত রোজগার করে উঠতে পারেননি। তারপরেই লটারির দিকে ঝোঁকেন তিনি। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে মেনে নেয়নি তার পরিবার। রোশনের স্ত্রীর কথায়, ‘স্বামী লটারিতে বহু টাকা খরচ করত। বিষয়টি অত্যন্ত অপছন্দের ছিল। একাধিকবার ওকে বাধা দিয়েও লাভ হয়নি।’
রোশনের বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে। এরপরেই পাঞ্জাবের একজন লটারি ডিলার রোশনকে ফোন করে বলেন, পাঞ্জাব স্টেট বৈশাখী বাম্পার লটারিতে আড়াই কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। প্রথমে ওই ব্যক্তি ভেবেছিলেন তার সঙ্গে কেউ মজা করছে। এরপরেই অবশ্য রোশনের লটারি এজেন্ট তাকে ফোন করে বলেন, তিনি সত্যি সত্যি লটারি পেয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমকে রোশন বলেন, ‘আমি জানতাম একদিন আমি লটারি জিতব। কমপক্ষে দশ লাখ টাকা তো পাবই। কিন্তু, তার থেকে বেশি টাকা পাব তা কখনও ভাবিনি। কিন্তু, ভগবানের কৃপাতে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছি। সমস্ত ট্যাক্স দিয়েও ১.৭৫ কোটি টাকা হাতে থাকছে।
রোশন জানান, এই লটারির অর্থ তিনি তার তিন সন্তানের জন্য খরচ করতে চান। তাদের ভবিষ্যতের জন্যই তার যাবতীয় সঞ্চয়। এছাড়াও নিজে একটি কাপড়ের দোকান দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।