সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে ব্যবসা ও দুর্নীতির চর্চা একটি অশুভ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতায় গেলে সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবেন না। তাই গরিবের অধিকার, সমতা, ন্যায় এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে নতুন ধরনের রাজনীতি গড়ে তুলতে চান তাঁরা।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনার রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না। তাঁর দোসরদেরও এ দেশে রাজনীতি করতে হলে বাংলাদেশপন্থী হতে হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণ-সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, হাসপাতাল ব্যবস্থাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। চিকিৎসা খাতে আমূল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। জুলাই বিপ্লব তরুণদের যে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে, তা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলবে। তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে- এবার ভোটের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন হওয়ার আগেই নিজেদের ক্ষমতাসীন ঘোষণা দিচ্ছে। তিনি বলেন, যদি কেউ ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্বাচনি কেন্দ্র দখল করে ম্যাকানিজম করতে চায়, তবে জনগণ তাকে কঠোর জবাব দেবে। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে এটা এখন সময়ের দাবি।
জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় তাঁদের ‘রাজাকার’ ট্যাগ দিয়ে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। হামলার শিকার হওয়ার পরও সহায়তা দিয়েছেন ডা. মসলেহ উদ্দীন ফরিদ। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ফরিদ ভাইকে প্রয়োজন বলেন তিনি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ (চৌগাছা–ঝিকরগাছা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মসলেহ উদ্দীন ফরিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক মো. আরমান হোসেন, যশোর-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং যশোর-১ আসনের প্রার্থী আজিজুর রহমান ও জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা পশ্চিমের দায়িত্বশীল মো. ইসমাইল হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন- ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল আলিম। সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও শিবির নেতা খালিদ বিন খলিল।







