চার বছরে দ্বিগুণ দাম, সয়াবিনের বিকল্প ভাবছেন ক্রেতারা!

চার বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। ২০১৮ সালে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির বাজার মূল্য ছিল শতকের নিচে। সেসময় প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলেছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। আর চার বছরে ধাপে ধাপে দাম বাড়তে বাড়তে সে দর দাঁড়িয়েছে ১৬৮ টাকায়। অর্থাৎ চার বছরে তেলের দাম হয়েছে দ্বিগুণ।

 

সয়াবিন তেলের এইমূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প ভাবছেন ক্রেতারা। সরকারকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বলে আশা করছেন তারা। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেলের দামের খোঁজ নিতে গেলে এমনই আশার কথা জানা যায় ক্রেতাদের কাছে।

 

বাজার মূল্যের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা দরে।

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে নতুন আসা এক লিটার তেলের বোতলে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা। একই সময়ে বেড়েছে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। ৭৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাম বাড়িয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়।

 

বোতলজাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খোলা তেলের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও এই দামছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হওয়া পাম অয়েল তেলের দাম এখন ১৩৫-১৪০ টাকা।

 

নিত্যপণ্যের এমন দর বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মুখে সরকারের অবস্থান আরও শক্ত করা প্রয়োজন।

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা মো. সোহেল ঢাকাটাইমসকে জানান, বাজার খরচের একটা বড় এখনই এখন চলে যাচ্ছে তেল কিনতে।

 

সোহেল বলেন, ‘চার বছরে একটা পণ্যের দাম লিটারে ২০-২৫ টাকা বাড়তে পারে। সেটা মানা যায়। কিন্তু দ্বিগুণ হয়ে গেল, সেটা তো মানা যায় না।

 

তেলের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বরাবরই বড় ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের কাঁচামালের দর বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছেন। সয়াবিনের বিকল্প ভাবতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

খিলগাঁও কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা রবিন হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের মা-খালারা ছোট বেলায় সরিষার তেল দিয়ে রান্না করত। কিন্তু সরিষার তেলটাকে এখন নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে জায়গাটা নিল সয়াবিন। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও মানুষ খাচ্ছে। এখন সেটারও এভাবে দাম বাড়ালে কীভাবে হবে? সরকার কি এর বিকল্প কিছু ভাবতে পারছে না?

 

একইবাজারে বাজার করতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই তেলের দাম বাড়ে। ১৬০ টাকা করে তেল কিনতে হচ্ছে। করোনার মধ্যে এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের তো জীবিকা কঠিন হয়ে যাবে।

 

একই ক্ষোভের কথা জানান হারুণ-অর-রশিদ নামের আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, কিছুদিন পর দেখা যাবে ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।এখন বিকল্প ভাবতে হবে।

সূএ:ঢাকাটাইমস ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এক মণ্ডপে ২০০-র বেশি প্রতিমা-বিগ্রহ! লাখো ভক্তের সমাগমের প্রস্তুতি

» সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

» ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

» নওগাঁয় মহিলাসহ ৪ ভুয়া পুলিশ আটক

» প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চার বছরে দ্বিগুণ দাম, সয়াবিনের বিকল্প ভাবছেন ক্রেতারা!

চার বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। ২০১৮ সালে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির বাজার মূল্য ছিল শতকের নিচে। সেসময় প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলেছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। আর চার বছরে ধাপে ধাপে দাম বাড়তে বাড়তে সে দর দাঁড়িয়েছে ১৬৮ টাকায়। অর্থাৎ চার বছরে তেলের দাম হয়েছে দ্বিগুণ।

 

সয়াবিন তেলের এইমূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প ভাবছেন ক্রেতারা। সরকারকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বলে আশা করছেন তারা। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেলের দামের খোঁজ নিতে গেলে এমনই আশার কথা জানা যায় ক্রেতাদের কাছে।

 

বাজার মূল্যের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা দরে।

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে নতুন আসা এক লিটার তেলের বোতলে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা। একই সময়ে বেড়েছে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। ৭৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাম বাড়িয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়।

 

বোতলজাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খোলা তেলের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও এই দামছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হওয়া পাম অয়েল তেলের দাম এখন ১৩৫-১৪০ টাকা।

 

নিত্যপণ্যের এমন দর বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মুখে সরকারের অবস্থান আরও শক্ত করা প্রয়োজন।

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা মো. সোহেল ঢাকাটাইমসকে জানান, বাজার খরচের একটা বড় এখনই এখন চলে যাচ্ছে তেল কিনতে।

 

সোহেল বলেন, ‘চার বছরে একটা পণ্যের দাম লিটারে ২০-২৫ টাকা বাড়তে পারে। সেটা মানা যায়। কিন্তু দ্বিগুণ হয়ে গেল, সেটা তো মানা যায় না।

 

তেলের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বরাবরই বড় ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের কাঁচামালের দর বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছেন। সয়াবিনের বিকল্প ভাবতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

খিলগাঁও কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা রবিন হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের মা-খালারা ছোট বেলায় সরিষার তেল দিয়ে রান্না করত। কিন্তু সরিষার তেলটাকে এখন নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে জায়গাটা নিল সয়াবিন। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও মানুষ খাচ্ছে। এখন সেটারও এভাবে দাম বাড়ালে কীভাবে হবে? সরকার কি এর বিকল্প কিছু ভাবতে পারছে না?

 

একইবাজারে বাজার করতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই তেলের দাম বাড়ে। ১৬০ টাকা করে তেল কিনতে হচ্ছে। করোনার মধ্যে এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের তো জীবিকা কঠিন হয়ে যাবে।

 

একই ক্ষোভের কথা জানান হারুণ-অর-রশিদ নামের আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, কিছুদিন পর দেখা যাবে ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।এখন বিকল্প ভাবতে হবে।

সূএ:ঢাকাটাইমস ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com