ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শোভাযাত্রা নিয়ে সদরঘাটে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হবে।
এবার বেশ নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা আশা করে বলছেন, প্রতিবছরই যেন এভাবে পূজা করতে পারেন, সেটাই তাদের চাওয়া।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেবী দুর্গাকে বিদায় দিতে এসেছেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মীরা মন্ডল। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কিছুক্ষণ আগেই ঘট বিসর্জন করা হয়েছে, এই ঘট বিসর্জন মানেই আমাদের মাকে বিসর্জন দেওয়া। এবার আমরা খুব ভালোভাবে জাঁকজমকের সহিত পূজা করতে পেরেছি। যেন এ বছরের মতো সবসময় সবাই মিলে একসঙ্গে সুন্দর করে পূজা করতে পারি, এটাই কামনা করি।
মীরা মন্ডল বলেন, মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থনা, আমাদের দেশটা যেন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে, কারও মধ্যে জন্য কোনো হিংসা-বিভেদ না থাকে, এটাই আমার চাওয়া।
ঢাকা মহানগর পূজা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস পাল বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে পূজা শুরু হয়েছে, তারপর আরতি হলো, এরপর অঞ্জলির মধ্য দিয়ে মা তার স্বামীর বাড়ি কৈলাসে চলে গেছেন। এখন ঘটগুলোকে সামনের পুকুরেই বিসর্জন দেব। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ বছরের পূজার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, বিকেলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে মা দুর্গাকে এখানে আনা হবে। তারপর শোভাযাত্রা করে আমরা চলে যাব সদরঘাটে। সেখানেই বিসর্জন হবে।
তাপস পাল জানান, অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছর প্রচুর লোক এসেছে পূজা করতে এবং দেখতে। রাত আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত এখানে হাজার হাজার লোক ছিল। এখন বিসর্জনের কাজটা সুন্দরভাবে করতে পারবো আশা করছি। বর্তমান সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে আমি পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিন যাবত নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ভেতরে-বাইরে পোশাকে বা সাদা পোশাকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তার পাশাপাশি র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ডিউটি করছেন এবং যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে।
এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে বিসর্জনের মধ্য দিয়েই আমাদের ডিউটি পরিপূর্ণ শেষ হবে না, আগামীকালও কিছু বিসর্জন হবে। তবে শুধু আজকের জন্যই ডিএমপির পক্ষ থেকে আড়াইহাজার বাড়তি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।