তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো জনগণকে শোষণের আরেকটি অস্ত্র:মোশাররফ হোসেন

দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমরা এই সভা থেকে তীব্র বিরোধিতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে।

 

শুক্রবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের শোষণ করছে। আরেকটা শোষণের অস্ত্র আমরা দেখলাম। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রজেক্ট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে, আর নয়। গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করি।

 

দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না।

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার প্রমাণ, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগ দেখলো, দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তাদের কোনো পাত্তাই থাকবে না। এজন্য তারা প্রশাসনকে দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। এটা বাংলাদেশর সবাই জানে। এভাবেই তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রশূন্য করে ফেলেছে।

 

তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের মিটিং মিছিলে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের সীমিতভাবে মিটিং করতে বাধ্য করছে সরকার, যাতে এগুলো জনগণের সামনে প্রকাশিত না হয়। সরকার স্বৈরাচারি আচরণ করছে। কিন্তু সরকারের এই অরাজকতা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

 

অর্থাৎ বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র নেই, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারাবিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এটা কোনোভাবেই গৌরবের বিষয় নয়, জাতিগতভাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।

 

তিনি আরও বলেন, যেদেশে গণতন্ত্র নেই, সেদেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। আমরা গুমের হিসেব দিয়েছি, বিচারবহির্ভূত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মামলা, ৩৬ লাখের মতো আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে, আমরা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তারা পার পায়নি।

 

ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, রফিকুল আলমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যরা।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

» সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য এবং শক্তির প্রতিক-ধর্মমন্ত্রী

» বাংলাদেশ ‘বিশ্ব ব্যাংক ভূমি সম্মেলন ২০২৪’-এ স্মার্ট ভূমিসেবা কার্যক্রম তুলে ধরেছে

» বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

» বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ইজারা দিয়ে আশানুরূপ ফলাফল মেলেনি: পাটমন্ত্রী

» ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই’

» হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

» হারাম শরিফে কি তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার নিয়ম নেই?

» ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত

» ‘নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম’

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো জনগণকে শোষণের আরেকটি অস্ত্র:মোশাররফ হোসেন

দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমরা এই সভা থেকে তীব্র বিরোধিতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে।

 

শুক্রবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের শোষণ করছে। আরেকটা শোষণের অস্ত্র আমরা দেখলাম। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রজেক্ট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে, আর নয়। গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করি।

 

দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না।

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার প্রমাণ, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগ দেখলো, দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তাদের কোনো পাত্তাই থাকবে না। এজন্য তারা প্রশাসনকে দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। এটা বাংলাদেশর সবাই জানে। এভাবেই তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রশূন্য করে ফেলেছে।

 

তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের মিটিং মিছিলে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের সীমিতভাবে মিটিং করতে বাধ্য করছে সরকার, যাতে এগুলো জনগণের সামনে প্রকাশিত না হয়। সরকার স্বৈরাচারি আচরণ করছে। কিন্তু সরকারের এই অরাজকতা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

 

অর্থাৎ বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র নেই, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারাবিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এটা কোনোভাবেই গৌরবের বিষয় নয়, জাতিগতভাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।

 

তিনি আরও বলেন, যেদেশে গণতন্ত্র নেই, সেদেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। আমরা গুমের হিসেব দিয়েছি, বিচারবহির্ভূত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মামলা, ৩৬ লাখের মতো আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে, আমরা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তারা পার পায়নি।

 

ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, রফিকুল আলমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যরা।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com