সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নানা অজুহাতে নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, গ্রামে যান, মসজিদে যান, ঘরে ঘরে মা বোনদের বিভ্রান্ত করে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। জনগণের সমর্থন পেতে হলে ৫৫ বছর পর নতুন করে মানুষের কাছে যাওয়ার যে সুযোগ পেয়েছেন, সেটির সৎ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের কাছে গেলে তারা প্রশ্ন করবে— একাত্তরে আপনারা কী করেছিলেন? সেই প্রশ্ন থেকে পালানোর চেষ্টা না করে ভুলগুলো স্বীকার করা উচিত।
তিনি বলেন, যারা আমার মায়ের বুক থেকে সন্তান ছিনিয়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে… যারা আমরা ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি —সেই আমাদের বাবা-মাকে লাঠিপেটা করেছে… যাদের মাথায় পা রেখে রিকশার নিচে বসিয়ে ১৪–১৫ কিলোমিটার হাঁটিয়েছে— সেই স্মৃতি আজও মনে আছে। তাই এসব পুরোনো ইতিহাস তুলে কারো মনে কষ্ট দিতে চাই না। কিন্তু অনুরোধ করব— নিজেদের ভুল বুঝে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনুস সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। আমাদের একটা আশা, একটা ভরসা— যে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরপরই কোনো কোনো দল বিভিন্ন দাবি তুলছে। এগুলো ন্যায্য কিনা, সেটি জনগণই বিচার করবে। কয়েকদিন আগে শুনলাম, ‘পিআর পদ্ধতিতে’ নির্বাচন দিতে হবে। আবার কেউ বলছে, আগে গণভোট দিতে হবে। নানা অজুহাতে নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে।
বিরোধী দলের সাবেক এ চিপ হুইপ বলেন, যারা এ নির্বাচনকে ব্যাহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত, দয়া করে বিরত হোন। অনুগ্রহ করে এমন বক্তব্য দেবেন না যা জনগণ গ্রহণ করবে না।
যারা আজ নির্বাচনে যাচ্ছেন, যারা হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন তাদের সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার, এ সরকার রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত। এ সরকারকে একটি নির্বাচন করতে দিন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই হোক।
ফারুক বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে—সেখানে ধানের শীষের জোয়ার আরও প্রবল করে তুলুন। বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে আসুন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরেকবার সুযোগ দেই জনসেবা করার। প্রমাণ করে দেবেন—তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর কোনোদিন বিপদে পড়বে না। বাংলাদেশ থাকবে, আমার বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ ফয়সাল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা।







