সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির নামে কলকাতার সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত ফ্যাসিস্ট সরকার এ দেশে দাদাদের সংস্কৃতি, কালচারাল হেজিমনি প্রতিষ্ঠার তাবেদারি করত। আমরা চাই আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে। আমরা আমাদের স্বকীয়তা বুঝতে শিখেছি, নিজের সক্ষমতা বুঝতে শিখেছি।
এটা বুঝেই আমরা ঠিক করব কার সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করব। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে। ইসলাম ও রাষ্ট্রের স্বার্থে যারা কাজ করবে, শিবির তাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু কখনো লেজুড়বৃত্তি করবে না।
এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটা শ্রেণির যে প্রোপাগান্ডা, সেটি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার, যার কোনো ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদারনীতির সঙ্গে শিবির একমত এবং সেটিই ধারণ করে।
দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিবিরের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ইতিমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকার এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব।
অনুষ্ঠানে শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সম্পাদকের মধ্যে উপস্থিত চলে গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শরীফ মাহমুদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।







