২০২০ সালের ২১ মে যাচাই বাচাই শেষে এই রেকর্ডের স্বীকৃতি পান তিনি। ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকে ফিরে রদ্রিগো তার সংগ্রহ শুরু করেন।
মেক্সিকোর নাগরিক হলেও রদ্রিগো পড়াশোনার জন্য স্পেনে ছিলেন। মূলত বিশ্বকাপের সময় ইউরোপে থাকার জন্যই এখানে পড়ার ইচ্ছা জাগে তার। তিনি জার্মানিতে প্রথম ফুটবল কিনেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য।
তখন থেকেই তার বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং দেশের ফুটবল সংগ্রহ করার ইচ্ছা হয়। প্রথম দিকে কিছু বন্ধু এবং কিছু পরিবারের সদদ্যের সাহায্যে সংগ্রহ করতেন। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেই কিনতে শুরু করেন ফুটবলগুলো।
প্রথম দিকে সংগ্রহ করতে নানান ঝামেলা পোহাতে হতো তাকে। তবে এখন কানাডা, ইতালি, ইংল্যান্ড এবং স্পেনের মতো বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের সাহায্য পান।
ফুটবলের প্রতি তার এই আবেগ তাকে ভালো বন্ধু তৈরি করার, নতুন জায়গায় ভ্রমণ করার এবং ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিয়েছে। সর্বোপরি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব অর্জন করারও সুযোগ দিয়েছে।
এক হাজারেরও বেশি ফুটবলের মালিক হওয়া সত্ত্বেও রদ্রিগোর পছন্দের বল মাত্র দুটি। প্রথমটি ছিল তার স্ত্রী মারিয়া জোস যখন তাকে জানায় সে বাবা হতে যাচ্ছে। তখন একটি ফুটবল উপহার দিয়েছিল। আর অন্যটি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের অলিম্পিক গেমসের। সেখানে মেক্সিকো ফুটবল স্বর্ণপদক জিতেছিল।
রদ্রিগো নিজেও একজন ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি পেশাদার পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন। প্রতি শনিবার, তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে ফুটবল খেলেন। ২৩ বছর ধরে একই কাজ করছেন তিনি। ফার্নান্দো টরেস, কলোম্বিয়ান রাদামেলের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা আছে রদ্রিগোর।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব অর্জন রদ্রিগোকে অনেক তৃপ্তি এনে দিয়েছে। তিনি আশা করেন এটি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করবে। রদ্রিগোর আগের রেকর্ডধারী ছিলেন ফার্নান্দো ফুগলিনি। তিনি আর্জেন্টিনার বাসিন্দা। ১৯৯৫ সালে মোট ৮৬১টি ফুটবল সংগ্রহে ছিল তার।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড