ঢাকা ছেড়ে বাইরে যাওয়াকে যেনো অধিনায়ক বদলের উপলক্ষ বানিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজের জায়গায় অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল নাইম ইসলামকে। এবার সিলেটে এসে আরেক দফা বদলে গেলো তাদের অধিনায়ক।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে নাইম ইসলামের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে টস করেছেন আফিফ।
অবশ্য প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যে জিততে পারেননি চট্টগ্রামের নতুন অধিনায়ক আফিফ। টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অধিনায়কত্ব হারিয়ে দল থেকেও বাদ পড়েছেন নাইম। টসের সময় আফিফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, নাইমের কোনো ইনজুরিজনিত সমস্যা আছে কি না। তিনি নিশ্চিত করেন, ইনজুরি সমস্যা নেই, তবে দলে নেওয়া হয়নি নাইমকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজার ফাহিম মুন্তাসির সুমিত জানিয়েছেন নাইমের বাজে ফর্মের কথা, নাইমের তো ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না। তাই দল থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অধিনায়ক বদলে। এখন আফিফই আমাদের অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে আট ম্যাচ খেলে মাত্র ১০.৫৭ গড়ে ৭৪ রান করতে পেরেছেন নাইম। এক অঙ্কের ঘরেই আউট হয়েছেন পাঁচ ম্যাচে। সবশেষ চার ম্যাচে তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৮, ৮, ০ ও ৩। এছাড়া এক ম্যাচে বল করে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রামের একাদশে বাদ পড়া নাইমের জায়গায় দলে এসেছেন জাকির হাসান। অন্যদিকে চলে যাওয়া আন্দ্রে রাসেলের জায়গায় আফগান ফজলহক ফারুকি এবং ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিকে নিয়েছে ঢাকা।
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা একাদশ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, শুভাগত হোম, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, ইমরানউজ্জামান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), ফজলহক ফারুকি এবং কাইস আহমেদ।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ: আফিফ হোসেন ধ্রুব (অধিনায়ক), আকবর আলী (উইকেটরক্ষক), জাকির হাসান, বেনি হাওয়েল, মেহেদী হাসান মিরাজ, উইল জ্যাকস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, শরিফুল ইসলাম, শামীমম হোসেন পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।