ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহ সদরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের সরকারি পুকুরপাড় এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত শিবলু মিয়া দাপুনিয়া ইউনিয়নের সরকারি পুকুরপাড় এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে। বাবা-ছেলে দুজনেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার পর থেকে শিবলুর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শিবলুর পরিবার জানায়, বছর খানেক আগে ঘাগড়া ইউনিয়নের সুহেলী গ্রামের সাইদ মিয়ার মেয়ে মিমের সঙ্গে বিয়ে হয় শিবলুর। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ লেগে থাকত। প্রায়ই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো দম্পতির মধ্যে। সম্প্রতি এক ঝগড়ার জেরে মিম রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান।
পরবর্তীতে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিবলু তার স্ত্রীকে ফেরত আনার উদ্দেশ্যে শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছালে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। খবর পেয়ে শিবলুর মা-বাবা গিয়ে তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে শুক্রবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে শ্বশুর পক্ষ সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
নিহতের চাচা আকি মিয়া বলেন, “সন্ধ্যার পর শিবলু দাপুনিয়া সরকারি পুকুরপাড় বাজারে এক দোকানে চা খাচ্ছিল। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলে ৩-৪ জন যুবক এসে তাকে ডেকে বাজারের পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। শিবলুর চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে শিবলুর হত্যার সঙ্গে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনই জড়িত। তারা আগেই তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।”
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিবলু তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে বলেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছেন। ঘটনার পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। তাঁরা ভয়ে পালিয়েছেন, নাকি হত্যার সঙ্গে জড়িত—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।