সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : রঙিন শাকসবজির মধ্যে অন্যতম মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়া শুধু রান্নায় স্বাদই বাড়ায় না, বরং এটি একটি শক্তিশালী পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী এই সবজিটি নিয়মিত খেলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। মিষ্টি কুমড়া শরীরের জন্য এক বিশেষ সুপারফুড। চলুন জেনে নিই মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-
ভিটামিনে ভরপুর
মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।
হজমে সহায়ক
এই সবজিতে প্রচুর আঁশ (ফাইবার) থাকায় হজম শক্তিশালী হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং অন্ত্র সুস্থ থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।
হৃদযন্ত্রের যত্ন
মিষ্টি কুমড়ায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
কুমড়া ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। পাশাপাশি কুমড়াতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবারও। এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাছাড়া কুমড়াতে থাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
কম ক্যালোরি ও বেশি ফাইবার থাকায় যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া আদর্শ খাবার। তাই মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ত্বক ও চুলের উপকার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের বার্ধক্য ধীর করে এবং চুলের গোড়া মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী
মিষ্টি কুমড়ার গ্লাইসেমিক লোড তুলনামূলক কম, তাই পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন?
ভাজি, তরকারি, ভর্তা, স্যুপ কিংবা হালকা ভাপ দিয়েও খাওয়া যায় মিষ্টি কুমড়া। তবে পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে অতিরিক্ত তেলে ভাজা এড়িয়ে চলাই ভালো।








