ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করল এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটেরচর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

নিহত ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের নাম রতন আহমেদ (২২)। তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের ভাড়াটিয়া আব্দুল জলিলের ছেলে। তার বাড়ি বগুড়া জেলায় হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, নিহত রতন আহমেদ ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তিনি এই হাসপাতাল ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যোগ দেন। পরিবার নিয়ে গজারিয়া উপজেলার বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে ভাড়া থাকায় নিয়মিত এখান থেকে মদনপুরে যাতায়াত করতেন। রাত ১০টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে বাসায় ফিরতেন তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ভাটেরচর ব্রিজের পশ্চিম দিকের ঢালে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন। ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গজারিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়। তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা যা যা ছিল কিছুই পাওয়া যায়নি। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে থানায় মামলা করব।

এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা ব্রিজের ঢালে একজনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রাত ১১টার পর ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই। আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। কেউ তাকে ধারালো ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে ফেলে গেছে বলে মনে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ইতোমধ্যে মর্গে প্রেরণ করেছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচন-গণভোট একই দিন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

» জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

» আ. লীগ ভুলের পথে থাকবে যতদিন শেখ হাসিনা এই দলে থাকবে : জাহেদ

» প্রথমবার দেশে গুমের মতো অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

» মানুষ নেই, এআই দিয়ে ছবি তৈরি করে লকডাউন করছে আ.লীগ: এ্যানি

» আ. লীগের আসলে হ্যাডম নেই, এটি একটি মাস্তান-মাফিয়া সংগঠন: জাহেদ

» বিএনপি-জামায়াতের বিভেদের কারণে আ. লীগ ফেরার সুযোগ পাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

» জীবন মৃত্যুর খেলা

» ফ্যাসিবাদের হুমকি ধামকি জনগণ প্রতিহত করেছে: জামায়াত সেক্রেটারি

» লিভার সুস্থ রাখতে উপকারী যেসব খাবার

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করল এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটেরচর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

নিহত ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের নাম রতন আহমেদ (২২)। তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের ভাড়াটিয়া আব্দুল জলিলের ছেলে। তার বাড়ি বগুড়া জেলায় হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, নিহত রতন আহমেদ ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তিনি এই হাসপাতাল ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যোগ দেন। পরিবার নিয়ে গজারিয়া উপজেলার বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে ভাড়া থাকায় নিয়মিত এখান থেকে মদনপুরে যাতায়াত করতেন। রাত ১০টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে বাসায় ফিরতেন তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ভাটেরচর ব্রিজের পশ্চিম দিকের ঢালে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন। ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গজারিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়। তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা যা যা ছিল কিছুই পাওয়া যায়নি। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে থানায় মামলা করব।

এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা ব্রিজের ঢালে একজনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রাত ১১টার পর ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই। আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। কেউ তাকে ধারালো ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে ফেলে গেছে বলে মনে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ইতোমধ্যে মর্গে প্রেরণ করেছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com