সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়— এই দাবিতে রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন দুই মাস পিছিয়ে দিন, কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পল্টন মোড় থেকে যমুনা অভিমুখী জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, নভেম্বরে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার নিকট ৮ দলের স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিশাল গণমিছিলে উপস্থিত থেকে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, তারা আগের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ আর সেই অবস্থায় ফিরবে না। জুলাই সনদ বাস্তবায়নই এখন একমাত্র পথ।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি অঙ্গীকার ছিল— সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন, ঐকমত্য কমিশন ও জুলাই সনদ। সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ বাকি। আগামী ১০ তারিখের মধ্যে এই আদেশ জারি না হলে ঢাকায় বিশাল সমাবেশ হবে।’
তিনি স্পষ্ট করে জানান, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে না। নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এখন দেরি হলেও আগে গণভোট হতে হবে, পরে নির্বাচন। প্রয়োজনে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দুই মাস পিছিয়ে দিন।
গাজী আতাউর রহমান অভিযোগ করেন, ‘যারা সংস্কার চায় না, দুর্নীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলা জাতির সঙ্গে তামাশা।’
পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত এই জমায়েতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে গণমিছিলসহ প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ড. মুহাম্মাদ আবু তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদসহ আটদলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।







