সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ২০১৮ সালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করা ডাক্তার সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা এবারও বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার (০৪ নভেম্বর) দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশে এবার সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে সংসদে যাবেন তিনি। এদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই শেরপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে। চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ হযরত আলী কারাগারে থাকার কারণে ওই নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করে বিএনপি। বাবার তুমুল জনপ্রিয়তা ও চৌকস নেতৃত্বে ভিত কাঁপিয়ে দেয় সেই সময়ের আওয়ামী লীগ দুর্গের। সেই নির্বাচনে দুপুর ১২টার মধ্যে ৩৫ হাজার ভোট পেলেও কারচুপির অভিযোগ এনে অবশেষে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলীয় ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে মানুষের প্রতি জনসমর্থন আদায় করতে মাঠে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হামলা-ভাঙচুর উপেক্ষা করে তীব্র প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করে সারা দেশে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে চষে বেড়িয়েছেন দীর্ঘ সময়। দল তার জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন করেছে। তবে মনোনয়নবঞ্চিতদের নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনী পরিকল্পনা করা হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, আমি ২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম। সেই সময় আমি শেরপুর সদরের সর্বস্তরের মানুষের চোখে মুখে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা দেখেছি। তারা মাত্র এক ঘণ্টা ভোটের সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ ভোট আমাকে দিয়েছিল তা দেখেই বুঝা যায় যে, তারা ধানের শীষ এবং আমাকে কতটা ভালোবাসে। তারই পরিক্রমায় এবারও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এর জন্য আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।
ডা. সানসিলা জেবরিন বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি এ মনোনয়ন পেয়েছি। ২০১৮ সালে আমি সমস্ত বাংলাদেশে প্রতিবাদ করে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম। ওই প্রতিবাদে শেরপুরকে চিনিয়ে দিয়েছিলাম। মানুষকে বুঝিয়েছি আওয়ামী লীগ ভোটচুর।
তিনি মনোনয়নবঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, একটি আসনে অনেকগুলো প্রার্থী থাকতে পারে। যেহেতু বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। আমাদের এখানেও একাধিক প্রার্থী ছিল। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি প্রার্থীই ধানের শীষকে ভালোবাসে এবং মন থেকে দলটা করে। কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমি বিশ্বাস করব বাকি সব প্রার্থী আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন। ইনশাআল্লাহ শেরপুর সদর আসন থেকে এবার আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
নারী কোটায় প্রার্থিতায় আলোচনায় আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য আমার আলাদা কিছু পরিকল্পনা থাকবে। সেই সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কৃষি খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়াও বড় বড় প্রকল্পে নারীদের বেশি অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করা হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, দলের মহাসচিব শেরপুরের তিনটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে নারী কোটায় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে আসা প্রিয়াংকা সবার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন বলে মনে করি।
তিনি বলেন, নারী নেত্রীর সব গুণাগুণ তার মধ্যে রয়েছে। আমরা আশা করি প্রিয়াংকা সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ভোট পেয়ে রেকর্ড অর্জন করবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে শেরপুরের তিনটি আসনই বিএনপির হবে।







