সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বর্তমানে তৈরি হওয়া সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, যেই সংকট তৈরি হয়েছে এর একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে এই অন্তবর্তী সরকার তার প্রিন্সিপাল পজিশনে নাই।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনি ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপির চাপে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) কতক্ষণ ডানে ছোটেন, জামায়াতের চাপে তিনি কিছুক্ষণ বামে ছোটেন। এনসিপির চাপে মাঝেমধ্যে ওপর দিকেও উঠতে চেষ্টা করেন। ঘেরাও না করলে দাবি আদায় হয় না। আমাদের অনুরোধ হচ্ছে, আপনাদের অবস্থান ঠিক করেন। আপনারাও যদি রাষ্ট্রের মালিক হয়ে যান তাহলে হবে না। আপনাদের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার, মানুষের প্রয়োজনের কথাগুলো শুনতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। সংস্কারটা কত কঠিন বুঝতে পারছেন? অনেকে বলেন লৌকিক সংস্কারের লাভ কী? সংস্কার তো এভাবে একটা দুইটা করেই করতে হবে। দল যদি সংস্কার না হয়, রাজনীতি কীভাবে সংস্কার হবে?
রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এবি পার্টির এই শীর্ষ নেতা বলেন, কেন বিএনপির লোকেরা ঘাট দখল করে, বাজার দখল করে, ইজারা দখল করে? কেন এনসিপির নতুন রাজনীতিবিদদেরও সেদিকেই আগ্রহ? আমরা শুধু সমালোচনাটাই করি। কেন এই আগ্রহটা হয় সেই জায়গাটা আমরা ভাবি না। কারণ আমাদের সমাজ কাঠামোটা এভাবে তৈরি করা আছে। এই কালচার তৈরি আছে। এই বন্দোবস্ত পরিবর্তন না হলে কাল যদি আমার দল শক্তিশালী হয়, আমার দলের নেতাদের আমি ধরে রাখতে পারবো কি না জানি না।
নতুন বদলের রাজনীতি সূচনার আহ্বান ও আত্মপর্যালোচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপির সমালোচনা, জামায়াতের সমালোচনা, এনসিপির সমালোচনার চাইতেও এমন একটা রাজনীতি করা যায় কি না একদিন আমরা দাঁড়িয়ে শুধু নিজেদের সমালোচনা করবো। কেন আমাদের দলের মিছিলে লোক আসে না? কেন আমাদের দলের কথা শুনে লোকেরা পাগলপ্রায় হয়ে রাজনীতি করতে ছুটে আসে না? কেন আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেই স্বপ্নের কথাটা মানুষকে বোঝাতে পারি না? সেই আত্মপর্যালোচনা করে আমরা যদি এগিয়ে যাই, কত বিএনপির, জামায়াতের, এনসিপির নেতা আমাদের দিকে আসবে তার তো কোনো হিসাব পাওয়া যাবে না।
এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। সঞ্চালনায় ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি।







