‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের পোর্টালে এখনো জুয়া ও অনিরাপদ কনটেন্টের বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুয়ার প্রচার বন্ধে গণমাধ্যমকে ‘ধরার’ কথা উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।

 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না। এগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

 

অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি সভার শুরুতে জানান, সরকার ওয়েব ক্রলিং (ইন্টারনেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি) করে দেখেছে, কোনো কোনো এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জুয়ার সম্পর্ক আছে। প্রতি সপ্তাহেই এ ধরনের অ্যাকাউন্টের তালিকা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন দেয়, তা বন্ধ করার একটা এসওপি তৈরি হচ্ছে। সরকারের হিসেবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।

 

সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েবলিংক বন্ধ করার পর এই চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড না, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, এসব গ্রুপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিদের প্লেয়ার হয়ে যুক্ত করতে হবে। যাতে কারা এসব চালায়, তাদের ধরা যায়, কী হচ্ছে জানা যায়। দেশে জুয়া, পর্নোগ্রাফি বন্ধে সব পক্ষের সক্রিয় ভূমিকা লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘ওয়েটিং রুম’-এ রহস্যময় শুভশ্রী

» সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ

» এলডিপির ৮৪ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ

» ‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ

» একটি পক্ষ জামায়াতের গণজোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার

» জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না : নাসীরুদ্দীন

» বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় চায় বিএনপি

» ‘নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স দেব’ ঘোষণার পর কিছু লোকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনােই

» গোলাম পরওয়ারের বক্তব্যে এনসিপির তীব্র প্রতিক্রিয়া

» ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর আহ্বান এনসিপির, ইচিবাচক ধর্ম উপদেষ্টা

উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের পোর্টালে এখনো জুয়া ও অনিরাপদ কনটেন্টের বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুয়ার প্রচার বন্ধে গণমাধ্যমকে ‘ধরার’ কথা উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।

 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না। এগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

 

অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি সভার শুরুতে জানান, সরকার ওয়েব ক্রলিং (ইন্টারনেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি) করে দেখেছে, কোনো কোনো এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জুয়ার সম্পর্ক আছে। প্রতি সপ্তাহেই এ ধরনের অ্যাকাউন্টের তালিকা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন দেয়, তা বন্ধ করার একটা এসওপি তৈরি হচ্ছে। সরকারের হিসেবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।

 

সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েবলিংক বন্ধ করার পর এই চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড না, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, এসব গ্রুপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিদের প্লেয়ার হয়ে যুক্ত করতে হবে। যাতে কারা এসব চালায়, তাদের ধরা যায়, কী হচ্ছে জানা যায়। দেশে জুয়া, পর্নোগ্রাফি বন্ধে সব পক্ষের সক্রিয় ভূমিকা লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com