ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাবলু খাঁন (৬০) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল আলম খাঁন ওরফে বাপ্পিকে (৪২) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় ২ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে নড়াগাতী থানা পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার পুঠিমারি গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) জয়নগর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নড়াগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন— কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার রামপুর গ্রামের হাফিজ খানের ছেলে লাভলু খান ওরফে লাবু (৪৭) এবং তার ছেলে রাব্বি খাঁন (২১)।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ অক্টোবর) বাবলু খাঁন পারিবারিক কলহের কারণে তার স্ত্রী মোসা. আঞ্জুমান ওরফে পপিকে মারধর করতে যান। এসময় পপি দৌড়ে মো. লাভলু খানের বাড়ির উঠানের ঘরের সামনে যান। সেখানে বাবলু খাঁন তার স্ত্রীকে মারধর করতে গেলে লাভলু খান তার বাড়ির ওপরে মারামারি করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্বের জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাজ্জাদুল আলম খাঁন বাপ্পি তালের ডাশা দিয়ে তার চাচা লাভলু খাঁনকে আঘাত করেন। পরে লাভলু খান ঘর থেকে হাসুয়া নিয়ে বাবলু খাঁনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে লাভলু খানের ছেলে রাব্বি খাঁন তাদের ঘর থেকে সড়কি নিয়ে এসে তার চাচাতো ভাই সাজ্জাদুল আলম খাঁনের বুকে কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে নড়াগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কালিয়া উপজেলার পুঠিমারি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২টি বাশের হাতল যুক্ত লোহার সড়কি, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত লোহার হাসুয়া উদ্ধার করেন এবং লাভলু খান এবং তার ছেলে রাব্বি খানকে গ্রেফতার করেন।
নড়াগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার পর আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই আসামি বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়।