বিনোদন ডেস্ক :বলিউডে ‘আট ঘণ্টা কাজ’-এর দাবি নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। দীপিকা পাড়ুকোনের ‘কল্কি’ সিকুয়েল থেকে সরে দাঁড়ানোর খবরের মধ্যেই রানি কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিয়ে মুখ খুললেন।
রানি জানান, মেয়ে আদিরার জন্মের পর তিনি যখন ‘হিচকি’র শুটিং করছিলেন, আদিরা তখন ১৪ মাসের। তাকে দুধপান করানোর জন্য তিনি একটি কঠোর রুটিন মেনে চলতেন। তিনি সকালে দুধ পাম্প করে বেরিয়ে যেতেন এবং ইউনিট ও পরিচালকের সহায়তায় ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যেই শুটিং শেষ করতেন। এতে ট্রাফিক শুরু হওয়ার আগেই তিনি দুপুরের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসতে পারতেন।
তার কথায়, ‘এই বিষয়গুলো এখন আলোচনায় এসেছে কারণ হয়তো মানুষ বাইরে এগুলো নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু এটা সব পেশাতেই একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমিও করেছি, নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছি। যদি প্রযোজক রাজি থাকেন, তাহলে ছবিটা করা যায়। না থাকলে করা যায় না। এটা একেবারেই পছন্দের বিষয়। কেউ কাউকে জোর করছে না।’
পুরুষরা সন্তান জন্ম দিলে পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকত না উল্লেখ করে রানি বলেন, ‘ভাবুন তো, যদি পুরুষদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তাহলে তারা সবাইকে পাগল করে দিত। এখন তাদের হাতে অনেক সময়, তাই যুদ্ধ করছে। যদি তাদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তাহলে হয়তো পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকতো না। কারণ ওরা তখন শুধু শিশুকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো।’
‘কারণ আমি মনে করি, পুরুষরা এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত— একটি শিশুকে জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতা। এটা ঈশ্বরের সবচেয়ে কাছাকাছি আসার অনুভূতি। কারণ আমরা একটি জীবন সৃষ্টি করি।’
অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘পুরুষদের শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আমরা মা হওয়ার সময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। আমি মেয়ে হয়ে খুবই খুশি। আমি এটা কোনো কিছুর বিনিময়ে পরিবর্তন করবো না।’