ঈদ নিয়ে সবারই থাকে ভিন্ন রকম প্রস্তুতি। এ দিন কেবল খাওয়াদাওয়ার প্রতিই যে বিশেষ নজর থাকে তা কিন্তু নয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিজেকে সাজিয়ে নেন ঈদের সাজে। এছাড়া ঈদের দিন সবাই চায় ঘরের সাজেও থাকুক ভিন্নতা। কারণ ঈদে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্য মেহমান আসে। তাই এই দিন ঘর থাকা চাই একদম পরিপাটি।
ঈদে ঘর সাজাতে যে অনেক খরচ করতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে খুব সাধারণ জিনিস দিয়েও মনের মতো সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার ঘর। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
প্রথমেই ঘরের দেয়াল এবং মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। দেয়ালে মাকড়শা বাসা বানিয়ে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। পারলে নতুন করে রং করে নিতে পারেন দেয়ালে।
দেয়ালে রং করা সম্ভব না হলে ওয়াল পেপার লাগিয়ে নিতে পারেন। অনলাইনেই অনেক ধরনের আর দামের ওয়াল পেপার কিনতে পারবেন।
দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কনট্রাস্ট বিছানার চাদর বিছিয়ে নিন। বিছানায় কয়েকটি কুশন রাখতে পারেন। বিছানার চাদরটি যদি ঘরের সবকিছুর সঙ্গে মানানসই হয় তবে ঘরে ঢুকলেই সুন্দর এক অনুভূতি হবে। হালকা রং শরীর ও মনে এক ধরনের প্রশান্তি আনে।
দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন একটি পেইন্টিং। আবার হাতে তৈরি ওয়ালমেট লাগাতে পারেন দুই একটা। আবার নিজেদের প্রিয় মুহূর্তের বাঁধাই করা ছবি, ওয়াল হ্যাঙ্গিং লাগিয়ে পরিবর্তন করতে পারেন দেয়ালের পুরনো রূপ।
জানালা এবং দরজায় লাগিয়ে দিন পর্দা। দেয়াল ও বিছানার চাদরের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দার রং বাছাই করুন।
ঘর সাজাতে ইনডোর প্ল্যান্ট-এর কোনো বিকল্প হতে পারে না। ঘরে রাখা যায় এমন গাছগুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনি আপনার ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে সাহায্য করে। তাই ঈদের আগেই কয়েকটি গাছ এনে রাখুন আপনার ঘরে।
হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিয়াইওয়াই দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। ঘরে থাকা পুরনো জিনিস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন শোপিস বা ওয়াল হ্যাঙ্গিং। ঘরের যে কোনো জায়গায় সাজিয়ে দিন।
রাখতে পারেন মনের মতো মাটি বা কাঁচের শোপিস। আবার একটি ল্যাম্প দিয়েই সাজিয়ে নিতে পারেন ঘরের কোণটি।
একটা সময় ছিল যখন কাঠের আলমারিজুড়ে শোভা পেত সারি সারি বই। আর এই বইগুলো তুলে ধরত পারিবারিক ঐতিহ্য এবং মুল্যবোধ। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বই পড়ার অভ্যাস কমেছে এবং প্রাধান্যহীনতায় ভুগছে বইয়ের তাক। এই ঈদে অন্দরে আপনার রুচির ছাপ হতে পারে বইয়ের তাক। এখন অনেকেই জ্যামিতিক নকশায় আঁকা বাঁকা বইয়ের তাক পছন্দ করেন। ঘরের প্রায় প্রতিটি রুমে একটি করে বইয়ের তাক লাগাতে পারেন। সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম