সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন তারিক সাঈফ মামুন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। নিহত মামুন ছিলেন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’। জানা গেছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নিহত মামুন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লেগেছিল মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।
ঘটনার পর তখন পুলিশ বলেছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারিক সাঈফ মামুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে এসে দেখি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়েছে।’
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম-পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ন্যাশনাল আইডি থেকে জানতে পেরেছি তার নাম তারিক সাঈফ মামুন এবং তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর। এ সম্পর্কে তদন্ত চলমান রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেন, ‘দুইজন ব্যক্তি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইন্সটিটিউট হাসপাতালের প্রবেশমুখে এসে ওই ব্যক্তিকে পেছন থেকে গুলি করে। বেশ কয়েকটি গুলি করার পর ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তারা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।’
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি ইমন গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। দ্রুত অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’







