চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে এ জন্য বাজার মনিটরিং টিম কাজ করবে। এছাড়া স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে সহজে পণ্য কিনতে পারে এ জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, ‘রমজানের অতি প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের সিংহভাগ এরই মধ্যে গুদামে চলে এসেছে। বাকিগুলো বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই তা গুদামে চলে আসবে। এ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট তৈরি হবে না।’ জানা যায়, এখনো প্রায় দেড় মাস বাকি থাকলেও রমজানে অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে ‘রমজানি উত্তাপ’ ছড়াতে শুরু করেছে। গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে শুরু করে ১৫ টাকা পর্যন্ত। গত তিন সপ্তাহ আগেও চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খেজুর প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। একইভাবে ৭৫ টাকার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা কেজি, ৪০ টাকার মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজি, ৮০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি, ৩০ টাকার পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, ৭০ টাকার মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৭ টাকা কেজি। ২৬০০ টাকা মণের চিনি বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ টাকা মণ। ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে মণ প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। চালের দামও বেড়েছে বস্তা প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান কারণে গত কিছু দিন ধরেই বাড়ছে কিছু কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম। আশা করছি রমজানের আগেই তা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’ সূএ:বাংলাদে প্রতিদিন