ছবি: সংগৃহীত
ভ্রমণ অনেকটা মেন্টাল থেরাপির মতো। একঘেয়েমি কাটাতে, শান্তিতে নিজের মতো বাঁচার রসদ জোগাতে, মনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে, অবসাদকে কাটিয়ে নতুন অ্যাডভেঞ্চারের দিকে পা দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই তাই যেদিকে মন চায় সেদিকেই বেড়িয়ে পড়া ভালো। তাতে মন ও শরীর দুটোই থাকে সুস্থ ও সতেজ। তবে শুধু স্বাস্থ্যের ভালো রাখার জন্য নয়, দেশ বিদেশের নানা অভিজ্ঞতা সারাজীবনের জন্য মনের কোটরে স্থায়ী হয়ে থাকে।
অনেকে পরিবারকে সঙ্গী করে বেড়াতে ভালোবাসেন। আবার অনেকেই রয়েছে যারা একা একা ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার স্বপ্ন দেখেন। তারা নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোকেই বেশি প্রাধান্য দেন। যদি একা একা বের হওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে কী কী জিনিস একেবারেই ভুললে চলবে না দেখে নিন-
প্ল্যান বি : ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় প্ল্যান এ যেমন মাথায় রাখবেন, তেমনি প্ল্যান বি-এর বন্দোবস্তও করে রাখতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক সময়ই কাজ হয় না,তাই ঝামেলা এড়াতে প্ল্যান বি সবসময় মাথায় রাখা উচিত। কোয়ালিটি টাইম যদি কাটাতে চান তাহলে খাতায় নোট করে রাখুন প্ল্যান বি।
ওভারপ্যাকিং : একা যখন ঘুরবেন, তখন ব্যাকপ্যাক হওয়া চাই হালকা। বাইরের কোনো সাহায্য ছাড়াই আপনাকে ঘুরতে হবে। তাই লাগেজ একাই বহন করার সাহস রাখতে হবে। সোলো ট্রাভেলে নতুন নতুন প্ল্যান তৈরি করার উত্তেজনা অনুযায়ী ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিতে হবে। ওভার প্যাকিং করার চিন্তাভাবনা একেবারেই করবেন না।
ওভার সিডিউলিং : একা ভ্রমণ মানেই লাগামছাড়া ভ্রমণ। অনেক জায়গা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়। সোলো ট্রাভেলের অর্থই হল আত্মার অনুসন্ধান করা। নিজের মতো করে বিরতি নেয়া, ধীরগতিতে জায়গায় জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। তাই মাথায় রাখবেন, জীবনে অনেক কিছু মিস করা যায়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ।
ভ্রমণের খরচ : সোলো ভ্রমণে খরচকে কখনও কম বলে মনে করবেন না। একা ভ্রমণ করছেন বলে তাতে খরচ কম হবে, তা একেবারেই নয়। একা যখন ভ্রমণ যখন করবেন তখন আর্থিক ব্যাকআপ সবসময় রেখে দিন।
বেশি কথা নয় : সোলো ট্রাভেলের সময় বেশি মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে যাবেন না। অন্যের সঙ্গে বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। কথা বাড়ালেই কথা বাড়ে। তাই নিজের মতো করে ঘুরে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যান। সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম