সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল ভিসায়াস ও সিবু প্রদেশে ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২৬ জন। ব্যাপক বন্যায় অনেকেই ছাদে আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আগুসান দেল সুরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ৬ জন মারা গেছেন। কালমায়েগিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তারা।
এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিবু প্রদেশে শক্তিশালী ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর পুনরুদ্ধার কাজ চলছিল। সেজন্য ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি তেমন ছিল না। এ অঞ্চলে ৪৯ জন মারা গেছে। যাদের বেশিরভাগ বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন কিংবা ভূমিধসের শিকার হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বার্নার্ডো রাফায়েলিতো জানান, বৃষ্টিপাত, নদীর পানি বৃদ্ধি ও পূর্বে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণে সেবু প্রদেশে ব্যাপক বন্যা হয়েছে। দুর্বল অবকাঠামোর কারণে উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনও সংকটাপন্ন।
ফিলিপাইনের রেড ক্রসের সাধারণ সম্পাদক গুইন্ডোলিন জানিয়েছেন, তারা ছাদে আটকা পড়া অনেক মানুষের কল পেয়েছেন। যারা উদ্ধার সহায়তার জন্য যোগাযোগ করেছেন। তবে বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে ও উদ্ধারকর্মীদের ঝুঁকি কমাতে পানি কমার পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
সেবু প্রদেশের গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো এ পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাপক বিপর্যয় সত্ত্বেও সতর্কতার সঙ্গে জরুরি উদ্ধারকাজ ও মানবিক সহায়তা পরিচালনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কালমায়েগি ধীরে ধীরে শক্তি হারালেও অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে দেশজুড়ে ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির বাতাস ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করেছে। এটি উত্তর-পালাওয়ান হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শক্তি কমলেও বন্যা, ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এখনো রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা







