ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাসভবন নির্ধারণে কাজ শুরু করেছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল, কমিটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের বিষয়ে সুপারিশও জমা দেয়। মূলত গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চেয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে বেশি উপযোগী বলে মনে করছে কমিটি। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়। তারা শেরে বাংলা নগরে দু’টি স্থান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে প্রস্তুত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। একটি হচ্ছে- শেরে বাংলা নগরের সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, আরেকটি হচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এলাকা।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওইদিন সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়ে। এটিতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তরের কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্মাণকাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে, আর আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছে জাদুঘর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ অবস্থায় নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে- এ বিষয়টি সরকারের সামনে আসে।
তাই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীদের বাসভবনের বিষয়ে সুপারিশ দিতে গত ৭ জুলাই উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করেছিল। ছয় সদস্যের এই কমিটির প্রধান ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ (বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক)। এই কমিটি রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
পরে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্ধারণের জন্য এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে দেওয়া হয়। এ কমিটির প্রধান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া সংসদ সচিবালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে।







