পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় চুন্নু ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তির দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুন্নু ব্যাপারী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নিজ তাতেরকাঠি গ্রামের মতলেব ব্যাপারী ও ছালেহা বেগমের ছেলে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের তালিকায় চুন্নু ব্যাপারীর নামে পৃথক দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। দুটি আইডির নম্বর আলাদা। একটিতে জন্মসাল ১৯৮০, আরেকটিতে ১৯৯২।
অভিযোগ রয়েছে, গ্রাম পুলিশে চাকরি নেওয়ার সময় তিনি তার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা সনদপত্র জাল ও বয়স কমিয়ে একটি নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। নতুন পরিচয়পত্র তৈরির ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ঘুষ দিয়ে তিনি কাজটি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুন্নু ব্যাপারী নাজিরপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ। ২০১৯ সালে মা ইলিশ শিকারের সময় পুলিশের হাতে আটক হন চুন্নু। তখন জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে শিক্ষা সনদপত্র জালের অভিযোগ ও একাধিক মামলা রয়েছে।
দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি স্বীকার করে চুন্নু ব্যাপারী বলেন, কী কারণে আমার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে তা জানি না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, যখন দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি। সূএ:ঢাকাটাইমস