পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন আজ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশেই বৃহৎ বিকল্প বাজারব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ১২ বিঘা জায়গা নিয়ে ‘কৃষকের বাজার’ গড়ে উঠছে।

 

আজ শুক্রবার গড়ে তোলা কৃষকের বাজার উদ্বোধন করা হবে। ৩০০ ফিট সড়কের উত্তর পাশে বৌড়া এলাকায় পুলিশ হাউজিং গেটসংলগ্ন স্থানে কৃষকের বাজার গড়ে তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে সব পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শিত থাকবে। যা দেখে ক্রেতারা সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাত হাজার বর্গফুটের একটি সুপার শপও করা হচ্ছে। কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে কৃষকের বাজারটি বাস্তবায়ন করছেন।

 

জায়গাটি আগামী ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন। এরই মধ্যে সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মাছ-মাংস বিক্রির জন্য আলাদা করে বড় বড় শেড তৈরির করা হয়েছে। গরু ও মুরগির মাংস বিক্রির জন্যও আলাদা শেড করা হয়েছে।

 

কৃষকদের জন্য বাজারব্যবস্থার পাশাপাশি ক্রেতাদের নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারের একপাশে একটি ফুড কোর্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই ফুড কোর্টে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ফাস্ট ফুডের দোকান থাকবে। সাত হাজার স্কয়ার ফিটের একটি সুপারশপও করা হচ্ছে। জানা গেছে, কয়েকজন উদ্যোমী উদ্যোক্তা মিলে কৃষকের বাজারটি বাস্তবায়ন করছেন।

 

জায়গাটি আগামী ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আগামীতে মিরপুর, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আরো তিনটি কৃষকের বাজার তৈরি করা হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

 

ফার্মার্স মার্কেট লিমিটেডের এ বাজারে কৃষকরা সরাসরি নিজেদের উৎপাদিত শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মাছ, মাংস, ডিম, পটোল, লাউ, বেগুন, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, মরিচ, পেঁপে, বেগুন ও ফলসহ নানা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখানে ২০ টাকা বা তার চেয়েও কম দামে মিলবে সবজি। বেসরকারি খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা এ বাজার চালু করতে যাচ্ছে। এখান থেকে ক্রেতারা তাজা ও সাশ্রয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

বাজারে পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের ক্রেতার জন্যই ব্যবস্থা থাকবে। কৃষকের বাজার থেকে ভোক্তারা অন্য সব বাজারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন। ফড়িয়া থেকে আড়তদার, আড়তদার থেকে পাইকারি, পাইকারি থেকে খুচরা এভাবেই পণ্যের দাম বাড়ে। এখানে সরাসরি কৃষকের সঙ্গে ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনাবেচা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রাজশাহীতে পৃথক অভিযানে ৩৬ জন গ্রেফতার

» জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

» জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেবে : আব্দুল হালিম

» হত্যা মামলার আসামি কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

» এনসিপিসহ ৩ দলের নতুন জোটের ঘোষণা বিকেলে

» শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ

» ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, দেখে নিন কবে কার খেলা

» বিটিআরসি ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ মোবাইল ব্যবসায়ীদের

» মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে হত্যা

» পরিবেশ সুরক্ষায় শিগগিরই বাংলাদেশ-জাপান সমঝোতা স্মারক: রিজওয়ানা হাসান

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন আজ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশেই বৃহৎ বিকল্প বাজারব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ১২ বিঘা জায়গা নিয়ে ‘কৃষকের বাজার’ গড়ে উঠছে।

 

আজ শুক্রবার গড়ে তোলা কৃষকের বাজার উদ্বোধন করা হবে। ৩০০ ফিট সড়কের উত্তর পাশে বৌড়া এলাকায় পুলিশ হাউজিং গেটসংলগ্ন স্থানে কৃষকের বাজার গড়ে তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে সব পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শিত থাকবে। যা দেখে ক্রেতারা সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাত হাজার বর্গফুটের একটি সুপার শপও করা হচ্ছে। কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে কৃষকের বাজারটি বাস্তবায়ন করছেন।

 

জায়গাটি আগামী ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন। এরই মধ্যে সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মাছ-মাংস বিক্রির জন্য আলাদা করে বড় বড় শেড তৈরির করা হয়েছে। গরু ও মুরগির মাংস বিক্রির জন্যও আলাদা শেড করা হয়েছে।

 

কৃষকদের জন্য বাজারব্যবস্থার পাশাপাশি ক্রেতাদের নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারের একপাশে একটি ফুড কোর্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই ফুড কোর্টে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ফাস্ট ফুডের দোকান থাকবে। সাত হাজার স্কয়ার ফিটের একটি সুপারশপও করা হচ্ছে। জানা গেছে, কয়েকজন উদ্যোমী উদ্যোক্তা মিলে কৃষকের বাজারটি বাস্তবায়ন করছেন।

 

জায়গাটি আগামী ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আগামীতে মিরপুর, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আরো তিনটি কৃষকের বাজার তৈরি করা হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

 

ফার্মার্স মার্কেট লিমিটেডের এ বাজারে কৃষকরা সরাসরি নিজেদের উৎপাদিত শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মাছ, মাংস, ডিম, পটোল, লাউ, বেগুন, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, মরিচ, পেঁপে, বেগুন ও ফলসহ নানা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখানে ২০ টাকা বা তার চেয়েও কম দামে মিলবে সবজি। বেসরকারি খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা এ বাজার চালু করতে যাচ্ছে। এখান থেকে ক্রেতারা তাজা ও সাশ্রয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

বাজারে পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের ক্রেতার জন্যই ব্যবস্থা থাকবে। কৃষকের বাজার থেকে ভোক্তারা অন্য সব বাজারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন। ফড়িয়া থেকে আড়তদার, আড়তদার থেকে পাইকারি, পাইকারি থেকে খুচরা এভাবেই পণ্যের দাম বাড়ে। এখানে সরাসরি কৃষকের সঙ্গে ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনাবেচা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com