নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা পর আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এম এল আফসার উদ্দিন নামের লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কাশিপুর খালের উত্তর পাড়ে রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, উদ্ধার করা লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ কারণে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়।
এর আগে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চকে এম ভি রুপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন শিশু। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন।
নারায়ণগঞ্জ নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মুন্সিগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে জয়নাল (৫৫), মুন্সিগঞ্জের দিন ইসলামের স্ত্রী আরিফা বেগম (৩৫) ও তার ১৫ মাস বয়সী সন্তান সাফায়েত।
লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিষিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার কারণ, কারা দোষীসহ সব কিছু উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।’