তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বলতা জামায়াত কাজে লাগাতে চায়: মীর্যা গালিব

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বলতা জামায়াত কাজে লাগাতে চায় জানিয়ে মীর্যা গালিব বলেন, ‘দলটি এজন্য জনমত তৈরি করছে। রাজনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি বৈধ। কারণ, এগুলো সব রাজনৈতিক দল করে। কিন্তু দুই জায়গা থেকে এটি খুব প্রশংসাযোগ্য কাজ নয়। একটি সেন্সিবল জায়গা থেকে, আরেকটি বড় দুটি দলের গণতন্ত্রের সৌন্দয়ের জায়াগা থেকে।’

মঙ্গলবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন এটি প্রত্যাশা ছিল, অথচ এরকম একটি সংকটময় মুহূর্তেও এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেন নি তিনি। এ নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জামায়াতে নেতাদের মন্তব্যের বিষয়ে উপস্থাপক জানতে চাইলে ড. মির্জা গালিব বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা সবাই আশা করেছিলাম তারেক রহমান দেশে আসবেন। অথচ এরকম একটি সংকটময় মুহূর্তেও তিনি এখন পর্যন্ত আসেননি। এ নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জামায়াতের বিভিন্ন নেতৃবন্দের যে বক্তব্য সেগুলো জনমনের প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সম্মানের জায়গায় রয়েছেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের তিনি আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ অবস্থান রয়েছে, ওনি আমাদের সম্পদ।’

তারেক রহমানের দেশে আসার সমালোচনা তিনভাগে আলোচনা করা যেতে পারে বলে জানান মির্জা গালিব। ‘প্রথমত, এটি ওনার ব্যক্তিগত বিষয়। ওনি কখন আসবেন, এটি নিয়ে অন্য কারও বক্তব্য দেয়া সমীচীন নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে এটিকে ব্যবহার করতে পারে। দ্বিতীয়ত, এটি দলীয় বিষয়। ওনি যেহেতু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এজন্য যতো তাড়াতাড়ি দেশে এসে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ততই ভালো। এটিও দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে বাহির থেকে প্রশ্ন করার তেমন কিছু নেই।’

‘তৃতীয়ত, এটি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। নাগরিক জায়গা থেকে যদি দেখি, ওনি বলেছেন দেশে আসার সিদ্ধান্ত তার নিজের হাতে নেই। এখানে প্রশ্ন উঠে, ওনার না আসা আমাদের নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত কিনা। ওনি সম্ভাব্য প্রধামন্ত্রী, তাই না। তারেক রহমান এবং জামায়াত আমির এখন প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট, সে হিসেবে আমি তারেক রহমানকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করবো। এখন ওনি যদি নিজের থেকে সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত কিনা আমি প্রশ্ন তুলতে পারবো। এটি ভ্যালিড প্রশ্ন।’

প্রসঙ্গত, জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ১৮ কোটি মানুষকে দেশে ফেলে রেখে যারা বিদেশে অবস্থান করেন তারা দেশপ্রেমিক নন। জামায়াতে ইসলামী নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি, বরং বিদেশ থেকে এসে ফাঁসির মঞ্চে চড়েছেন। আর অনেক নেতা বিদেশ থেকে দেশে আসার সাহস পাচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব ছেড়ে এসে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, দুই কূলই হারাবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রংপুরে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দলের সমাবেশ শুরু

» স্বামীর চেয়ে সম্পত্তির পরিমাণ বেশি সামান্থার

» ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

» যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

» বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানের মঞ্চে যারা আলো ছড়াবেন

» তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা

» তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বলতা জামায়াত কাজে লাগাতে চায়: মীর্যা গালিব

» মেহেরপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ৩০ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিল বিএসএফ

» নারী ইউপি সদস্য হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেফতার

» এভারকেয়ারের পাশে দুই বাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলক অবতরণ-উড্ডয়ন কাল

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বলতা জামায়াত কাজে লাগাতে চায়: মীর্যা গালিব

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বলতা জামায়াত কাজে লাগাতে চায় জানিয়ে মীর্যা গালিব বলেন, ‘দলটি এজন্য জনমত তৈরি করছে। রাজনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি বৈধ। কারণ, এগুলো সব রাজনৈতিক দল করে। কিন্তু দুই জায়গা থেকে এটি খুব প্রশংসাযোগ্য কাজ নয়। একটি সেন্সিবল জায়গা থেকে, আরেকটি বড় দুটি দলের গণতন্ত্রের সৌন্দয়ের জায়াগা থেকে।’

মঙ্গলবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন এটি প্রত্যাশা ছিল, অথচ এরকম একটি সংকটময় মুহূর্তেও এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেন নি তিনি। এ নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জামায়াতে নেতাদের মন্তব্যের বিষয়ে উপস্থাপক জানতে চাইলে ড. মির্জা গালিব বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা সবাই আশা করেছিলাম তারেক রহমান দেশে আসবেন। অথচ এরকম একটি সংকটময় মুহূর্তেও তিনি এখন পর্যন্ত আসেননি। এ নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জামায়াতের বিভিন্ন নেতৃবন্দের যে বক্তব্য সেগুলো জনমনের প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সম্মানের জায়গায় রয়েছেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের তিনি আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ অবস্থান রয়েছে, ওনি আমাদের সম্পদ।’

তারেক রহমানের দেশে আসার সমালোচনা তিনভাগে আলোচনা করা যেতে পারে বলে জানান মির্জা গালিব। ‘প্রথমত, এটি ওনার ব্যক্তিগত বিষয়। ওনি কখন আসবেন, এটি নিয়ে অন্য কারও বক্তব্য দেয়া সমীচীন নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে এটিকে ব্যবহার করতে পারে। দ্বিতীয়ত, এটি দলীয় বিষয়। ওনি যেহেতু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এজন্য যতো তাড়াতাড়ি দেশে এসে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ততই ভালো। এটিও দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে বাহির থেকে প্রশ্ন করার তেমন কিছু নেই।’

‘তৃতীয়ত, এটি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। নাগরিক জায়গা থেকে যদি দেখি, ওনি বলেছেন দেশে আসার সিদ্ধান্ত তার নিজের হাতে নেই। এখানে প্রশ্ন উঠে, ওনার না আসা আমাদের নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত কিনা। ওনি সম্ভাব্য প্রধামন্ত্রী, তাই না। তারেক রহমান এবং জামায়াত আমির এখন প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট, সে হিসেবে আমি তারেক রহমানকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করবো। এখন ওনি যদি নিজের থেকে সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত কিনা আমি প্রশ্ন তুলতে পারবো। এটি ভ্যালিড প্রশ্ন।’

প্রসঙ্গত, জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ১৮ কোটি মানুষকে দেশে ফেলে রেখে যারা বিদেশে অবস্থান করেন তারা দেশপ্রেমিক নন। জামায়াতে ইসলামী নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি, বরং বিদেশ থেকে এসে ফাঁসির মঞ্চে চড়েছেন। আর অনেক নেতা বিদেশ থেকে দেশে আসার সাহস পাচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব ছেড়ে এসে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, দুই কূলই হারাবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com