সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ‘ফুটবলের রাজা’ এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো, সারাবিশ্বে তিনি পেলে নামে পরিচিত। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) তার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২২ সালের এই দিনে ৮২ বছর বয়সে ব্রাজিলের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাচয় মিনাস জেরাইসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম দন্দিনহো ও মায়ের নাম সেলেস্তে আরাস। তার বাবাও একজন ফুটবলার ছিলেন ও তিনি ফ্লুমিনেস ফুটবল ক্লাবে খেলতেন। পেলে দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিলেন এবং মার্কিন উদ্ভাবক টমাস এডিসনের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল। পরিবারে তার ডাকনাম ছিল জিকো।
বিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি পেলে ডাকনামটি পান। এটি দাবি করা হয়, পেলে নিজেই তার ডাকনামটি দিয়েছিলের। তার আত্মজীবনীতে পেলে লিখেছিলেন যে নামটির অর্থ কী তা নিয়ে তার এবং তার পুরানো বন্ধুদের তখন কোনও ধারণা ছিল না। নামটি বিলে থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং হিব্রু ভাষার এটির অর্থ অলৌকিক।
পেলে সাও পাওলো রাজ্যের বাউরুতে দারিদ্রের মাঝে বেড়ে ওঠেন। চাকর হিসেবে তিনি চায়ের দোকানে কাজ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করতেন। তার বাবা তাকে ফুটবল খেলা শেখান, তবে তার একটি ফুটবল কেনার সামর্থ্য ছিল না, ফলে তিনি মোজার ভেতর সংবাদপত্র, দড়ি ঢুকিয়ে বল বানিয়ে খেলতেন।
পেলে তার যৌবনে বেশ কয়েকটি অপেশাদার দলের হয়ে খেলেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সেট ডি সেতেমব্রো, ক্যান্টো দো রিও, সাও পাওলিনহো এবং আমিরিকুইনহা। পেলে দুটি সাও পাওলো রাজ্য যুব চ্যাম্পিয়নশিপে বাউরু অ্যাথলেটিক ক্লাব জুনিয়রের নেতৃত্ব দেন। পেলে তার মধ্য-কৈশোরে, রেডিয়াম নামক একটি ইনডোর ফুটবল দলের হয়ে খেলেন। সেই সময় বাউরুতে ইনডোর ফুটবল সবেমাত্র জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তিনি এই অঞ্চলের প্রথম ফুটসাল (ইনডোর ফুটবল) প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। পেলে ও তার দল প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আরও বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা জিতে।
১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তারকাখ্যাতি পান। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৬৩ ম্যাচে রেকর্ড ১২৮১ গোল করেন তিনি। এর মধ্যে ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে করেন ৭৭ গোল।
বিশ্বে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ফুটবলার তিনি। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিল ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জিতে। ২০০০ সালে পেলেকে শতাব্দী সেরা ফুটবলার হিসেবে ঘোষণা করে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)।








