সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, শরীফ উসমান হাদি কেবল ইন্তেকাল করেননি—তিনি রক্ত দিয়ে ইতিহাস লিখে গেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে যে ক’জন নির্ভীক কণ্ঠ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, শহীদ হাদি ছিলেন তাদের অগ্রসারিতে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দেশীয় বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক দালালদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল বজ্রনিনাদ—যা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত থেমে থাকেনি।
নেতৃদ্বয় বলেন, হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি ‘২৪-এর পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি’ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের সরাসরি প্রতিশোধ। এই হত্যা প্রমাণ করে—ফ্যাসিবাদ পরাজিত হলেও নির্মূল হয়নি; তারা আজও রাষ্ট্রের ভেতরে ও বাইরে আশ্রয় নিয়ে জনতার কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চায়।
তারা আরও বলেন, আজ আমরা লজ্জিত, ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত—এই রাষ্ট্র হাদীকে বাঁচাতে পারেনি। আমরা একজন সাহসী সন্তানকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু ইতিহাসের কাঠগড়ায় হাদি ব্যর্থ নন—ব্যর্থ এই রাষ্ট্র, ব্যর্থ সেই প্রশাসন, যারা হাদির মতো সংগ্রামী কণ্ঠগুলোর নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই— শহীদ হাদি যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষের হৃদয়ে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের মহানায়ক’ হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তার রক্ত আমাদের শিখিয়েছে—আপস নয়, নীরবতা নয়, পিছু হটা নয়।
নেতৃদ্বয় মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানিয়ে বলেন—হে আল্লাহ! শহীদ হাদির শাহাদাত কবুল করো, তার পরিবার ও জাতিকে ধৈর্য দাও, এবং আমাদের সবাইকে তার রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে, আপসহীন সংগ্রাম চালানোর তাওফিক দাও। আমিন।








