সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাসায়নিক সার অবৈধভাবে মজুদ করা ৭৬৬ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজার এলাকার পেছনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে। তিনি স্থানীয়ভাবে কীটনাশক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানে আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন দুটি গুদাম তল্লাশি করে সরকারি অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মজুদ করা সার জব্দ করা হয়। জব্দ সারের মধ্যে রয়েছে ২৬০ বস্তা ইউরিয়া, ১৬৫ বস্তা ডিএপি, ২১৩ বস্তা পটাশ এবং ১২৮ বস্তা টিএসপি। এসব সার দীর্ঘদিন ধরে গুদামে মজুদ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সার মজুদ ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট আইনে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, এই এলাকায় বিপুল পরিমাণ সার অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। জব্দ করা সার বর্তমানে গুদামে রেখেই সিলগালা করা হয়েছে। পরে কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে এসব সার বিক্রি করা হবে, যাতে প্রকৃত কৃষকরা উপকৃত হন।
ইউএনও আরও বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা ও সারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে। কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা অবৈধ মজুদের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







