সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১১ জুন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরের। এরই মধ্যে ড্র ও সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। দলগুলো এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
তিন দেশে ছড়িয়ে থাকা ভেন্যুতে খেলা হওয়ায় এবার বিশ্বকাপে দলগুলোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দীর্ঘ ভ্রমণ। মাঠের কৌশল ও ফিটনেসের পাশাপাশি তাই ভ্রমণ পরিকল্পনাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ভেন্যুগুলো কাছাকাছি থাকায় দলগুলোকে খুব বেশি ভ্রমণ করতে হয়নি।
গ্রুপ পর্বে শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলোর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এক নয়। ব্রাজিলকে এ পর্বে প্রায় ১ হাজার ৯৪ মাইল পথ পাড়ি দিতে হবে। বিপরীতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার ভ্রমণ তুলনামূলক কম—মাত্র ৪৬১ মাইল। তাদের তিনটি ম্যাচই যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ও কানসাস সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দলগুলোর গড় ভ্রমণ ছিল মাত্র ৮৬ মাইল। ২০২৬ বিশ্বকাপে তা বেড়ে গড়ে ৫ হাজার ১৬৭ মাইলে দাঁড়াচ্ছে। যদিও এটি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের গড় ৭ হাজার ৫৪ মাইল ভ্রমণের তুলনায় কম।
দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে খেলোয়াড়দের ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত ও শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করছেন ক্রীড়া বিজ্ঞানীরা। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও রিকভারি না হলে মাংসপেশির চোটের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ ভ্রমণের চাপ সামলাতে মানসিক দৃঢ়তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক মানসিকতা ও সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।







