সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : কামরাঙ্গীরচরে দোকান কর্মচারী রকি (২৫) হত্যায় আরমান (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আরমান ডাকাতি-দস্যুতাসহ একাধিক মামলার আসামি। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার।
তিনি জানান, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পূর্ব ইসলামনগর এলাকায় সোমবার গভীর রাতে একটি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। শাহদাত ইসলাম রকি (২৫) নামে এক ভুক্তভোগীকে কে বা কারা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ভুক্তভোগী রকি একজন মুদিদোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, ভুক্তভোগী রকি হাজিরা কাজের উদ্দেশ্যে গত সোমবার বিকেলে সময় বাসা থেকে বের হন। পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর নিকট আত্মীয়রা লোক মারফত জানতে পারেন যে, গভীর রাতে রকিকে কে বা কারা তার দুই ঊরুতে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার সময় রকির পা ও প্যান্ট রক্তাক্ত অবস্থায় ভিজে যায়। তিনি সেখানেই পড়ে ছিলেন। পরে তার চিৎকারে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যার নেপথ্যের কারণ হিসেবে র্যাব বলছে, রকি মাদকাসক্ত ও এলাকায় গ্রুপিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা হয়।
মামলার পর বিষয়টি আমলে নিয়ে র্যাব মঙ্গলবার রাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার চামটা এলাকায়* অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে আসামি আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরমানের বিরুদ্ধে ডাকাতি-দস্যুতার চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত রকি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচরের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার দিন হাসপাতালে পথচারী মো. রানা জানান, রাতে মাতবর বাজার আশরাফাবাদ হাইস্কুলের সামনে ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে ছিল। দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা দেখেননি তিনি।
রকির গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি গ্রামে। বর্তমানে তার পরিবার কামরাঙ্গীরচর চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় বড়গ্রাম এলাকায় থাকে। রকি একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। সেদিন রাতে রকি বাসায় না ফেরায় তারা চিন্তায় পড়েন। পরদিন ভোরে খবর পান কে বা কারা রকিকে ছুরিকাঘাত করেছেন। এরপর তারা ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান এবং রকির মরদেহ শনাক্ত করেন।







