রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় রাকসুর নেতারা।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে চলমান অচলাবস্থা আজ ২৩ দিন অতিক্রম করেছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট নিরসনে রাকসুর প্রতিনিধি দল একাধিকবার উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানায়।

উপাচার্য বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অপসারণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন এবং ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রেরণ করেন। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একই দিনে চিঠি ইস্যু হওয়ার কথা থাকলেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত তা ইস্যু করা হয়নি। এতে বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থেকে শিক্ষার্থীরা আরও একদিন একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়ে।

বিষয়টি জানতে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার মহোদয় তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। রাকসুর মতে, প্রশাসনিক দায়িত্বের সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসন ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

রেজিস্ট্রার ইফতেখার আলম মাসউদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে বিষয়টির অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং উত্তেজিত হয়ে কথা বলেন। এই ঘটনার একটি অংশ ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বহু শিক্ষার্থী দেখেছেন বলে জানায় রাকসু। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সংকটকে উপেক্ষা করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ বিলম্বিত করা দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবের দৃষ্টান্ত। একজন নির্বাচিত ছাত্র-প্রতিনিধির সঙ্গে এমন আচরণ রাকসুর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী। রাকসুর দাবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের এই অশোভন আচরণের জন্য তদন্তের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ করতে হবে।

রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ঘটনা যেহেতু রেজিস্ট্রারের সাথে সম্পৃক্ত তাই আমরা রেজিস্ট্রারের অপসারণ চাই। আর এটি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ঠিক আছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয়। সামনে আমরা দাবি জানাবো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন কর্মকর্তার পদে না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসু প্রতিনিধির সাথে নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের পরে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রাজধানীর যেসব স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলো ডিএমপি

» ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

» যুবককে কুপিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ

» টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা

» আমি ট্রাম্পকে ভয় পাই না: জেলেনস্কি

» তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ১০ম দিনের আপিল শুনানি শুরু

» আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আজ ১১তম দিনের সাক্ষ্য

» আজ মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ

» যারা জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করবে তাদেরকে এনসিপিতে স্বাগত: হাসনাত

» যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের জন্য ৬২ আসন ফাঁকা রয়েছে : মির্জা ফখরুল

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় রাকসুর নেতারা।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে চলমান অচলাবস্থা আজ ২৩ দিন অতিক্রম করেছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট নিরসনে রাকসুর প্রতিনিধি দল একাধিকবার উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানায়।

উপাচার্য বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অপসারণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন এবং ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রেরণ করেন। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একই দিনে চিঠি ইস্যু হওয়ার কথা থাকলেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত তা ইস্যু করা হয়নি। এতে বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থেকে শিক্ষার্থীরা আরও একদিন একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়ে।

বিষয়টি জানতে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার মহোদয় তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। রাকসুর মতে, প্রশাসনিক দায়িত্বের সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসন ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

রেজিস্ট্রার ইফতেখার আলম মাসউদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে বিষয়টির অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং উত্তেজিত হয়ে কথা বলেন। এই ঘটনার একটি অংশ ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বহু শিক্ষার্থী দেখেছেন বলে জানায় রাকসু। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সংকটকে উপেক্ষা করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ বিলম্বিত করা দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবের দৃষ্টান্ত। একজন নির্বাচিত ছাত্র-প্রতিনিধির সঙ্গে এমন আচরণ রাকসুর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী। রাকসুর দাবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের এই অশোভন আচরণের জন্য তদন্তের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ করতে হবে।

রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ঘটনা যেহেতু রেজিস্ট্রারের সাথে সম্পৃক্ত তাই আমরা রেজিস্ট্রারের অপসারণ চাই। আর এটি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ঠিক আছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয়। সামনে আমরা দাবি জানাবো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন কর্মকর্তার পদে না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসু প্রতিনিধির সাথে নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের পরে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com