সংগৃহীত ছবি
ধর্ম ডেস্ক : ইসলামে নবজাতকের জন্য আকিকা করা সুন্নত। প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে নবজাতকের পক্ষ থেকে আকিকা দিতে উৎসাহ দিয়েছেন। এটি নবজাতককে শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে এসেছে, ‘সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (অর্থাৎ পশু জবাই করো) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও।’ (বুখারি: ৫৪৭২)
আকিকার নিয়ম
ছেলে সন্তানের জন্য সাধারণত দুইটি এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি বকরি বা ছাগল আকিকা করা সুন্নত। (ফতোয়ায়ে শামি: ৬/৩৩৬) তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করা হলেও মোস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও দুটি করা উত্তম। (রদ্দুল মুহতার: ৫/২১৩, আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ: ৩০/২৭৭)
মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া আকিকা করার নিয়ম। এরপরও কেউ যদি দুইটি আকিকা করে, এতে কোনো সমস্যা নেই, কারণ এ বিষয়ে শরিয়তে কোনো নিষেধ নেই। আলেমদের অনেকে বলেন, মেয়ের জন্য দুটি ছাগল জবাই করলে আকিকা হিসেবে একটি ধর্তব্য হবে আর অন্যটি হবে সাধারণ জবাই।
আকিকা আদায়ের সময়
সন্তান ভূমিষ্ঠের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিন মনে রাখার একটি সহজ পদ্ধতি হলো, যে দিন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে, পরবর্তী সপ্তাহে তার ঠিক আগের দিন, সেই দিন আকিকা করা। (আবু দাউদ: ২৮৩৭)
যদি কেউ কারণে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারে, তবে পরবর্তী সময়ে সুযোগমতো যেকোনো দিন এটি আদায় করতে পারবে। (ইবনুল কাইয়িম, তুহফাতুল মাওদুদ: ৬/৬৩; ফতোয়া লাজনা দায়েমা: ১৭৭৬; মাজমু ফতোয়া উসাইমিন: ২৫/২১৫)
আকিকা উদাসীনতার বিষয় নয়। এটি সন্তানকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে। ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ‘আকিকা সন্তানকে শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর ওসিলা। অনেক সময় মা-বাবার উদাসীনতার কারণে সন্তান এই কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (জাদুল মাআদ: ২/৩২৫)
সুতরাং, মেয়ে সন্তানের জন্য এক বা দুটি আকিকা করা উভয়ই গ্রহণযোগ্য এবং সুন্নতের দিক থেকে সম্মানজনক।







