নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এখন কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত আমীর খসরু

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতা রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সেই স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কারও হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  বলেন, বর্তমানে ১৪-১৫ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব না থাকায় রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা হারিয়ে গেছে। প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— সব জায়গায় এখন জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ সংকেত।

 

আমীর খসরু  আরও বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে কারও কাছে জবাবদিহির প্রশ্নই আসে না। সরকার উপরে, জনগণ নিচে… মাঝখানে কোনো সেতু নেই। এই সেতুই তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এখন সেই সেতু অনুপস্থিত।

 

এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা কোনো অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করি না। আমাদের একটাই দাবি— যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে, জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে।

 

আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে চলে যাওয়া উচিত। যারা বিতর্কিত, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদেরকে সরকারি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক হবে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে। কিন্তু কোনো দেশের নির্দেশে নয়, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল বাংলাদেশ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

 

বক্তব্যের শেষে তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক।

 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি শক্তির প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

» ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল নির্ধারণে চলছে ইসির সভা

» কওমির সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আইন উপদেষ্টা

» জুলাই হত্যা মামলায় সালমান-আনিসুল ট্রাইব্যুনালে

» আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনেই শহীদদের মরদেহ তোলা হবে: সিআইডি প্রধান

» সংসদ নির্বাচনে ভোট : প্রবাসী নিবন্ধন সোয়া দুই লাখ

» জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ জনের মরদেহ তোলা হচ্ছে আজ

» আজ রবিবার রাজধানীর যেসব দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ

» জুলাই সনদের বিরোধীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : মামুনুল হক

» নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : সাকি

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এখন কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত আমীর খসরু

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতা রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সেই স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কারও হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  বলেন, বর্তমানে ১৪-১৫ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব না থাকায় রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা হারিয়ে গেছে। প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— সব জায়গায় এখন জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ সংকেত।

 

আমীর খসরু  আরও বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে কারও কাছে জবাবদিহির প্রশ্নই আসে না। সরকার উপরে, জনগণ নিচে… মাঝখানে কোনো সেতু নেই। এই সেতুই তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এখন সেই সেতু অনুপস্থিত।

 

এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা কোনো অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করি না। আমাদের একটাই দাবি— যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে, জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে।

 

আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে চলে যাওয়া উচিত। যারা বিতর্কিত, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদেরকে সরকারি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক হবে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে। কিন্তু কোনো দেশের নির্দেশে নয়, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল বাংলাদেশ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

 

বক্তব্যের শেষে তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক।

 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com