সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতির কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন এই সরকারের কাজ হবে সকল গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতির কোনোটিই এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আজ বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বিজয় নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়
সমাবেশে নব্য ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করতে জাতি অতীতের মতোই প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশ কারো বাপের নয়, কোনো পরিবারের নয়; এই দেশ ১৮ কোটি জনগণের। জনগণ যাকেই ভোট দিবে জামায়াতে ইসলামীর আপত্তি নেই। কোনো দল যদি নিজেদের দেশের মালিক মনে করে থাকে তবে তাদের উচিত হবে ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসু থেকে শিক্ষা নেওয়া।
সবেমাত্র ছাত্ররা ভোটের মাধ্যমে বয়কট শুরু করেছে। জনগণও সুযোগ পেলে নব্য ফ্যাসিবাদীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করে ইসলামের পক্ষে এক নিরব বিপ্লব ঘটাবে।
তিনি প্রশাসন ও উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলবাজি করতে চাইলে রাজপথে নেমে আসুন। অতীতে দলকানা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রশাসনের সকল পর্যায়ের দায়িত্বরতদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কোনো দল সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা ভোট কারচুপি হলে গণভোটও বিতর্কিত হবে। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান ও অ্যাডভোকেট এস.এম কামাল উদ্দিন, আবদুস সালাম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ড. মোবারক হোসেন, শাহীন আহমেদ খান ।