ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে অন্তত ১২টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের কর্তৃপক্ষ। নভেম্বর ২০২৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী সাইদা প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বনাফুলে দুটি এবং সারাফান্দ ও বায়সারিয়েহর মাঝামাঝি খিরবেত দোইর এলাকায় একটি বিমান হামলা চালায়। এছাড়া নাবাতিয়েহ জেলার রোমিন ও হুমিন শহরের মধ্যবর্তী এলাকাও বোমাবর্ষণের শিকার হয়।
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ইসরায়েলি ড্রোন মারজায়ুন জেলার ব্লিদা শহরেও আঘাত হানে, যখন স্থানীয় বাসিন্দারা জলপাই সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।
আরও বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলা সাইদা, মারজায়ুন, বেন্ট জবেইল এবং পূর্বাঞ্চলের বালবেক জেলাকেও লক্ষ্য করে চালানো হয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে দক্ষিণ লেবাননজুড়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আলো আশপাশের শহর থেকেও দেখা যায়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, হামলায় একজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে—বিমান হামলাগুলো হিজবুল্লাহর অস্ত্র মজুত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ইসরায়েল মিথ্যা নিরাপত্তা অজুহাতে লেবাননের উৎপাদনশীল অবকাঠামো ধ্বংস এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।”
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লিতানি নদীর দক্ষিণাঞ্চলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ লেবানন সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত করা হবে।
বেইরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউএনআইএফআইএল কমান্ডার ডিওদাতো আবাগনারার সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আউন বলেন, লেবানন সেনাবাহিনী ইউএনআইএফআইএলের সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১ বাস্তবায়নে কাজ করবে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ ইউএন বাহিনীর ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের পর লেবানন সেনা পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, লেবানন ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে, যাতে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। সূত্র: আনাদোলু