সুলেখা আক্তার শান্তা:
তোমাকে নিয়ে আর পারি না, অভিমানী কণ্ঠে বলে ভাবনা। আমাকে না দেখে তুমি থাকতেই পারো না। তুমি এমন কেন বলো তো? ফয়সাল যেন শুনছেই না। তার মনেপ্রাণে শুধুই ভাবনা। সে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ভাবনার দিকে।
এই ফয়সাল! আমি কী বলছি, তুমি শুনছো?
কিছু বলছো?
ভাবনা অভিমান নিয়ে মুখ ফিরিয়ে বলে, না, কিছু বলিনি। বললে তো তুমি শুনতে। একটু থেমে আবার বলে, তুমি শুনছো আমি কি বলছি? তুমি যখন আমার দিকে তাকিয়ে থাকো, তখন কি তোমার আর কিছু মনে পড়ে না? ফয়সাল ধীরে বলে, আমি যখন তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি, তখন পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যাই। আমি চাইও না কিছু মনে রাখতে। তুমি ছাড়া!
তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই মনে রাখতে চাও না?
না না না! আমার হৃদয়ে কান পেতে দেখো, কী বলে, শুধু ভাবনা, ভাবনা, ভাবনা। ভাবনা ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না। ভাবনাই যে আমার সব! ফয়সাল, তুমি যেমন করছো, এগুলো পাগলামি ছাড়া কিছুই না! আর আমি যাচ্ছি কোথায়? তুমি আমার জন্য যা করেছো, এইসব কেউ কারো জন্য করে? ফয়সাল ভাবনার মুখে হাত রাখে, চোখে জল টলমল। আমি তোমার জন্য কী করলাম? কিছুই তো করতে পারি নাই। ভাবনা কাঁপা গলায় বলে, তুমি বলছো তুমি কিছু করনি? আমার খাওয়া, পড়া সবই তো তুমি করছো। আমার বাবা-মা শুধু জন্ম দিয়েছেন। তাঁরা সন্তানের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। অসুস্থ মা, বৃদ্ধ বাবা, তাঁরা চাইলেও কিছু করতে পারতে না। একটু থেমে, কৃতজ্ঞতা নিয়ে বলে, আজ আমি ভার্সিটিতে পড়ছি। সবই তোমার অবদান। তুমি খরচ না বহন করলে আমার পড়ালেখা হত না।
ফয়সাল ধীরে বলে, এই ভাবনা, তুমি কী বলছো? এসব বলে তুমি আমার মন খারাপ করে দিচ্ছ। আমি তো শুধু চাই তুমি ভালো থাকো। তুমি হাসলে আমার পৃথিবী হাসে।
ফয়সাল, তোমার মন খারাপ হবে কেন? তুমি আমার জন্য যা করেছো, এমন কেউ কারো জন্য করে? করে না। আমি কী খেতে চেয়েছি, কী পড়তে চেয়েছি, সব দিকেই ছিল তোমার লক্ষ্য। আমার জন্য কিছু করতে পারা যেন তুমি মহাসাগর জয় করেছো!
ফয়সালের চোখে জল। ভাবনার কণ্ঠে ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতার মিশ্র সুর।
ভাবনা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি চাই আমার ভালোবাসার মানুষটা সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। তুমি আমার জীবনের সব। তোমাকে ভালো রাখতে পারলেই আমি ভালো থাকি, ভালো থাকবো।
ভাবনা বলে, তোমার মতো একজন আমার ভালোবাসার মানুষ এই তো আমার সৌভাগ্য! পাপ-পুণ্য কী করেছি, জানি না! একমাত্র আল্লাহই জানেন। তবে আমার মনে হয়, আমি কোনো পুণ্যের কাজ করেছি, তাই তোমার মতো একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছি। আর মানুষ তো ভালোবাসে তার সৌন্দর্য দেখে। কিন্তু আমি ভালোবাসি তোমার হৃদয়ের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব, তোমার আচার-আচরণ দেখে, ভাবনা বলল শান্ত গলায়।
ফয়সাল একটু হেসে বলল, নাও, হয়েছে হয়েছে, আর বলতে হবে না।
ভাবনা থামল না। শোনো ফয়সাল, তোমার বিষয়ে এক বিন্দুও বেশি বলিনি। বরং তুমি আমার জন্য যা করো, তার চেয়ে কমই বলি। একটু চুপ থেকে ভাবনা বলল, ফয়সাল, আমার না বাইকে ঘুরতে ইচ্ছে করে। তোমার যদি একটা বাইক থাকতো, তুমি কত জায়গায় আমাকে নিয়ে বেড়াতে পারতে! ফয়সাল থম মেরে গেল। ভাবনার চোখে স্বপ্ন। তোমার বাইকে ঘুরতে ইচ্ছে করে? ঠিক আছে, আমি বাইক কেনার ব্যবস্থা করছি।
ফয়সাল বাড়িতে এসে ভাই ভাবির কাছে টাকা চায়। ভাই, একটা বাইক কিনতে হবে। টাকা দাও।
বড় ভাই বাবুল মুখ গম্ভীর করে বললেন, না, আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আর এই কথা যদি তোর ভাবি শোনে, দেখিস কী যুদ্ধ শুরু করে দেয়! ঠিক তখনই ভাবি রুবি এসে পড়লেন। বলেন, এই সংসারে খাটে আমার স্বামী, আর তুমি টাকা নিয়ে টইটই করে ঘুরবা? আমার স্বামী টাকা দিলে তার খবর আছে! ফয়সাল বলে, যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, দুই ভাই মিলে নেবে। এর মধ্যে অন্য কেউ যাতে নাক না গলায়!
দেখি, আমার কথার বাইরে গিয়ে আমার স্বামী কীভাবে তোমাকে টাকা দেয়!
ফয়সাল ভাইকে চুপচাপ দেখে বলল, ভাই, তুমি কিছু বলবা ভাবিকে?
বাবুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, তোর ভাবি দোষের কী বলল? তুই এসে টাকা চাস, আর আমি অমনি দিয়ে দেব?” ফয়সাল রাগ আর অভিমান নিয়ে ভাই বাবুলকে বলল, আমার ভাগের সম্পত্তি আমাকে দিয়ে দাও। বাবুল অবাক হয়ে বলল, কী বলিস তুই? সম্পত্তির ভাগ চাস? তোকে সম্পত্তি দিবো না! ফয়সাল শান্ত গলায় অনুনয় করে বলল, ভাই, আমি সম্পত্তির ভাগ চাই না। আমি যা বলছি তা রাগে বলেছি, তুমি আমাকে একটা বাইক কেনার টাকা দাও।
বাবুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, তোর টাকা নেওয়ার শেষ নাই! এত টাকা নিয়ে কী করিস? তবু ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে, কিছু না বলে, বাবুল টাকা বের করে দিলো। এই নে তোর টাকা। ফয়সালের যেন প্রাণ ভরে উঠলো। টাকা হাতে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাইক কিনে ভাবনার কাছে ছুটে যায়।
ভাবনা মহা খুশি। তুমি সত্যিই বাইক কিনে ফেলেছো?
ফয়সাল হাসল। তোমার জন্য। তারপর বাইকে করে ভাবনাকে নিয়ে শহরের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে লাগল। রোদ, বৃষ্টি, সন্ধ্যা সবই যেন নতুন রঙ পেল তাদের ভালোবাসায়।
ভাবনা ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে। তার জীবনে আসে নতুন সূর্য। একটি চাকরি। নতুন অফিস, নতুন সহকর্মী, নতুন পরিবেশ। অফিস কলিগ সজল একদিন ভাবনাকে রেস্টুরেন্টে আমন্ত্রণ জানায়। ভাবনা কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও রাজি হয়ে যায়। রেস্টুরেন্টে তারা দুজনে বসে। আলো-আঁধারিতে খাওয়া আর কথার ধারা বয়ে চলে। সজল জানতে চায়, আপনার কি কেউ পছন্দ আছে?
ভাবনা একটু চুপ থেকে বলে, না, আমার পছন্দের কেউ নেই। বৃদ্ধ বাবা-মা, তাঁদের নিয়েই আমার সময় চলে যায়। অন্য কাউকে সময় দেব কখন? সজল চুপচাপ শুনে যায়। তার চোখে মুগ্ধতা, ভাবনার প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ।
দিন যায়, রাত আসে। আস্তে আস্তে সজলের সঙ্গে ভাবনার ভাব গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ভাবনা সজলকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সময় সুযোগে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। কখনো শহরের কোলাহলে, কখনো নির্জন নদীর ধারে। ভাবনার চোখে যেন নতুন রঙ, নতুন স্বপ্ন। কিন্তু… ফয়সাল? সে কি হারিয়ে যাবে ভাবনার জীবন থেকে?
একদিন ফয়সাল ভাবনার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, হাতে ছোট একটা ফুলের তোড়া। ভাবনা অফিস থেকে বেরিয়ে এসে ফয়সালকে দেখে থমকে যায়। তারপর মুখ গম্ভীর করে বলে, তুমি আমার অফিসের সামনে এসেছো কেন? ফয়সাল শান্ত গলায় বলে, তোমার জন্য এসেছি। ভাবলাম, তোমাকে নিয়ে একটু রেস্টুরেন্টে বসবো। ভাবনা রেগে গিয়ে বলে, না, আমার এখন বসার সময় নেই। আর আমার অফিসের সামনে আসবে না! এখানে কে কখন দেখে, কী জিজ্ঞেস করে, তখন আমি কী বলবো? বলো, আমি তোমার ভালোবাসার মানুষ? ভালোবাসার মানুষ! এটা বলে কি ইজ্জত মান থাকবে? মানুষ কিসে, কিভাবে বিচার করে, তুমি বুঝো না। তুমি আর আমার অফিসের সামনে আসবে না!
ফয়সাল চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তার মনে কষ্ট, মুখে ম্লান হাসি! ঠিক আছে ভাবনা, তুমি রাগ করোনা। আমি আর তোমার অফিসের সামনে আসব না। একটু থেমে, ফয়সাল ধীরে বলে, হলো তো এবার?
ফয়সাল অনেকদিন ধরে ভাবনার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না। একদিন সে ভাবনার বাসায় আসে, দরজায় দাঁড়িয়ে ভাবনার মা সাহিদাকে জিজ্ঞেস করে, ভাবনা কোথায়?
সাহিদা একটু দ্বিধায় বললেন, ভাবনা তো বাবা অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে গেছে। তোমাকে বলে নাই? ফয়সাল ম্লান মুখে বলল, না, আমাকে তো কিছু বলেনি। সম্ভবত সময়-সুযোগ পায়নি, তাই বলতে পারেনি, সাহিদা বললেন। ফয়সাল মাথা নিচু করে বলল, ঠিক আছে, বলবেন আমি এসেছিলাম। ভাবনাকে না পেয়ে, মনটা ভার হয়ে যায় ফয়সালের। সে চুপচাপ চলে যায়।
কয়েকদিন পর ভাবনা বাসায় আসে। মা সাহিদা তাকে বলেন, ফয়সাল এসেছিল। তোকে না পেয়ে ছেলেটার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভাবনা মুখ ফিরিয়ে বলে, বাদ দাও তো মা। এসব মানুষের মন খারাপে কী আসে যায়? সাহিদা বিস্মিত হয়ে বলল, কী বলিস! যে ছেলে তোর জন্য এত কিছু করল, তার ব্যাপারে তুই এভাবে বলতে পারিস?
ভাবনা ধীরে বলে, মা, আমি বিয়ে করেছি!
সাহিদা থমকে যায়। তুই বিয়ে করেছিস? তাহলে ফয়সালের কী হবে?
বললাম না, ওর কথা বাদ দাও! ভাবনা রাগে গর্জে ওঠে। ওর চেয়ে ভালো পেয়েছি আমি। সজলের শিক্ষা, দীক্ষা, টাকা-পয়সা সব আছে। আর ফয়সালের কী আছে? সজলের কাছে ফয়সাল কিছুই না! মা সাহিদা স্তব্ধ হয়ে যান। যে ছেলে তোকে এতদূর আনলো, তার কথা তুই এইভাবে বলিস? না মা, তুই কাজটা ভালো করিস না। এখন যদি ফয়সাল কিছু জিজ্ঞেস করে, কী বলবি? ভাবনা মুখ ফিরিয়ে বলে, ওর কাছে কিছু বলার জন্য আমার বয়েই গেছে!
সাহিদা চিন্তিত কণ্ঠে বলেন, আমার তো এখন ভয় লাগছে তোর এই ব্যাপার নিয়ে। যদি ছেলেটা কিছু করে বসে! একটু থেমে ভাবনা বলে, মা, আমরা এখানে থাকবো না। এখান থেকে বাসা ছেড়ে চলে যাব।
ভাবনা সজলকে নিয়ে অন্য স্থানে বাসা নেয়। অফিসেও বলে দেয়, তার খোঁজ করতে কেউ এলে যেন জানিয়ে দেয়, তিনি এখানে এখন নেই।
ভাবনাকে খুঁজতে খুঁজতে ফয়সাল ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কোথাও তার খোঁজ মেলে না। একসময় সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে! ভাই-ভাবির কাছে সে অবহেলিত। তাকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা হয়। বাড়ির মানুষজনের কাছে সে যেন এক বোঝা! ফয়সাল বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে। সে এক নির্জন স্থানে চুপচাপ বসে থাকে দিনের পর দিন।
একদিন বৃদ্ধ জাবেদ আহমেদ ফয়সালকে দেখন। এগিয়ে এসে বলেন, বাবা, তুমি এইখানে বসে থাকো কেন? তোমার নাম কী? কোথা থেকে এসেছো?
ফয়সাল কোনো উত্তর দেয় না। অন্তরে শূন্যতা, মুখে নিঃশব্দ যন্ত্রণা।
বৃদ্ধ জাবেদ আহমেদ আবার বলেন, বাবা, তুমি এখানে বসে থাকো কেন? ফয়সালের দিকে তাকিয়ে বললেন, জানিনা তুমি কোথা থেকে এসেছো, কী তোমার পরিচয়! তুমি চাইলে ওই যে ছোট্ট একটা ঘর, আমি থাকি সেখানে তুমি আমার সঙ্গে থাকতে পারো। এই দুনিয়ায় আমার কেউ নেই। ফয়সাল কিছু না বলে বৃদ্ধের সঙ্গে যায়। তার ভাঙা মন, নিঃসঙ্গ হৃদয় যেন একটু আশ্রয় পায়।
জাবেদ আহমেদ, তিনি ফয়সালের যত্ন নেন, খাওয়ান, স্নেহ দেন। ফয়সাল ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। সে জাবেদ আহমেদকে, বাবা, বলে ডাকে।
একদিন জাবেদ আহমেদ বলেন, বাবা, আমার কিছু জমি আছে। আমি চাই এই জমিতে একটি স্কুল আর একটি বাগান গড়ে তুলতে। বাগানটি ভরাই থাকবে ফুলের সমাহার, রঙে, গন্ধে, ভরে থাকবে। ফয়সালের চোখে জল আসে।
কিছুদিনের মধ্যেই সেই জমিতে গড়ে ওঠে একটি স্কুল। আর বিশাল ফুলের বাগান! স্কুলে ভর্তি হয় অনেক ছেলে-মেয়ে। তাদের চোখে স্বপ্ন, মুখে হাসি। আর ফয়সালের মনে শান্তি, যে শান্তি সে একদিন হারিয়ে ফেলেছিল।
জাবেদ আহমেদ স্কুল আর ফুলের বাগানটি দেখে প্রফুল্ল হন। ফয়সালও আনন্দিত! এই শান্তি জীবনে সে যেন নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। একদিন জাবেদ আহমেদ বলেন, বাবা, এই স্কুল, এই জমি, সবকিছু আমি তোমার নামে লিখে দিলাম।
ফয়সাল অবাক হয়ে বলে, বাবা, কেন এসব আমার নামে দিতে গেলে? এগুলো তো আপনার!
জাবেদ আহমেদ হেসে বলেন, তুমি তো আমার ছেলে! ছেলের নামে সবকিছু দিয়ে আমি শান্তি পেলাম।
এই স্কুলে একদিন ভাবনা তার ছেলেকে ভর্তি করে। স্কুলের পরিবেশ দেখে সে মুগ্ধ। ছেলেকে নিয়ে আসা-যাওয়ার পথে একদিন সে ফয়সালকে দেখতে পায়। চমকে যায়। সে ফয়সালের সামনে গিয়ে বলে, ফয়সাল, তুমি এখানে?
ফয়সাল কোনো কথা বলে না। স্তব্ধ, শান্ত, চোখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি।
এই স্কুল তোমার? তোমাকে বিয়ে না করে ভুলই করেছি ফয়সাল! আমি সুখে নেই। ভাবনা বলতে থাকে। কিন্তু ফয়সাল একটিও কথা বলে না। শেষে ভাবনা কাঁপা গলায় বলে, ফয়সাল, আমি যদি তোমার জীবনে ফিরে আসি, তুমি কি গ্রহণ করবে আমাকে?
ফয়সাল ধীরে মুখ তুলে বলে, যে আমাকে, তাকে খুঁজে বের করার পথ বন্ধ করে রেখেছিল… তার সঙ্গে অজানা ভাবে দেখা হয়েছে। আমি তাকে আর ফিরে পেতে চাই না। অজানা পথ… অজানা পথেই থাক।