সরকার পরিবর্তন হলে মুহূর্তের মধ্যেই অনেকেই দেশে থাকবে না : রুমিন ফারহানা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘এই সরকারটা পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই দেখবেন অনেকেই আর বাংলাদেশে নাই। তারা যেই মুহূর্তে শপথ নিয়েছেন ওই সময় তাদের মাথায় কি ছিল জানি না। আর যাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ নাই তাদের মেজরিটির ছেলেমেয়েরাই বাইরে সেটেল।’

 

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সেফ এক্সিটের আসলে বেশ কয়েকটা অর্থ হয়। এর একটা অর্থ হচ্ছে ওয়ান ইলেভেনের সময় নানান অপকর্মের পরে রাজনৈতিক দলগুলোতে ভাঙন সৃষ্টি করার একটা অপকৌশল নেওয়া হয়েছিল। মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন সেটা করেছিল। চেষ্টা করা হয়েছিল যে দুই দলের টপ লিডারশিপকে সরিয়ে নতুন লিডারশিপ তৈরি করার।

 

সে পুরো প্রকল্পটি খুব বাজেভাবে ভেস্তে যাওয়ার পরে তারা দেশ থেকে চিরতরে চলে যেতে বাধ্য হয়। এরপরে সরকার এসেছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। ৫ই আগস্টের পর আবার নতুন ধরনের একটি সরকার এসেছে। কিন্তু তারা আর বাংলাদেশে ব্যাক করতে পারেনি।

 

সেটা একরকম সেফ এক্সিট হতে পারে।’ রুমিন বলেন, ‘স্পেসিফাই করা দরকার যে কোন উপদেষ্টা কি ধরনের অপকর্ম কবে করেছে এবং সেই অপকর্মের ধরণ কী। তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা আমরা আসলে এক্সপেক্ট করি। বেশিরভাগ উপদেষ্টাই ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে আছে। কেউ কেউ বিদেশ থেকেও এসেছেন, যিনি বিদেশে একেবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করা চাকরিরত।

 

সরকারের খুবই ইনফ্লুয়েনশিয়াল ব্যক্তিবর্গ অনেকেই আছেন। যারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়তো নন কিংবা থাকলেও তাদের আরো একটি দেশের নাগরিকত্ব আছে। সো এই সরকারটা পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই দেখবেন অনেকেই আর বাংলাদেশে নাই।’ রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ‘একটা কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, আমরা প্রত্যেকে যার যার ফিল্ডে যথেষ্ট ভালো করছি আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে। মানে প্রত্যেকের একটা নিজস্ব পরিচয় আছে এবং সেটা আমরা কেউ অস্বীকার করি না। তারা আবার যার যার কাজে ফিরে যাবেন এই কথা প্রধান উপদেষ্টা বহুদিন আগে থেকেই বলছেন। সো যাদের আসলে বিদেশের নাগরিকত্ব আছে এবং যারা বিদেশে একটা সেটেল লাইফ লিড করতে করতে বাংলাদেশে এসেছেন ৫ই আগস্টের পর, তারা আবার সেই পুরনো জীবনে ফিরে যাবেন। এটা খুব অবাক হওয়ার কিছু নাই। আর যাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ নাই তাদের মেজরিটির ছেলেমেয়েরাই বাইরে সেটেল। সো তারাও শেষ জীবনে যদি কোনো রকম কোনো বিপদের আভাস পান, বিদেশে চলে যাবেন। এটাতেও খুব অবাক হবার কিছু নাই।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রাজনৈতিক দলে ভিন্নমত থাকলেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা সম্ভব

» জামায়াত আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

» সেনাবাহিনীর ইস্ট বেংগল রেজিমেন্ট ও আর্মার্ড কোরের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

» নিষ্ঠার ধারাবাহিকতা হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই করবে

» জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ উল্লেখ থাকতে হবে

» রাতে হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

» গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়, একদিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট

» ‎নির্বাচনের আগেই পেশিশক্তির ব্যবহার শুরু হয় গেছে: শামীম সাঈদী

» জাতীয় সনদে কিছু বিষয় এখনো অস্পষ্ট, শেষ মুহূর্তে সংশয় তৈরি করেছে: আখতার

» এনসিপির মতো দল কিভাবে ৩ নম্বর পজিশন নেয়?: রাশেদ খান

উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সরকার পরিবর্তন হলে মুহূর্তের মধ্যেই অনেকেই দেশে থাকবে না : রুমিন ফারহানা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘এই সরকারটা পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই দেখবেন অনেকেই আর বাংলাদেশে নাই। তারা যেই মুহূর্তে শপথ নিয়েছেন ওই সময় তাদের মাথায় কি ছিল জানি না। আর যাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ নাই তাদের মেজরিটির ছেলেমেয়েরাই বাইরে সেটেল।’

 

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সেফ এক্সিটের আসলে বেশ কয়েকটা অর্থ হয়। এর একটা অর্থ হচ্ছে ওয়ান ইলেভেনের সময় নানান অপকর্মের পরে রাজনৈতিক দলগুলোতে ভাঙন সৃষ্টি করার একটা অপকৌশল নেওয়া হয়েছিল। মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন সেটা করেছিল। চেষ্টা করা হয়েছিল যে দুই দলের টপ লিডারশিপকে সরিয়ে নতুন লিডারশিপ তৈরি করার।

 

সে পুরো প্রকল্পটি খুব বাজেভাবে ভেস্তে যাওয়ার পরে তারা দেশ থেকে চিরতরে চলে যেতে বাধ্য হয়। এরপরে সরকার এসেছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। ৫ই আগস্টের পর আবার নতুন ধরনের একটি সরকার এসেছে। কিন্তু তারা আর বাংলাদেশে ব্যাক করতে পারেনি।

 

সেটা একরকম সেফ এক্সিট হতে পারে।’ রুমিন বলেন, ‘স্পেসিফাই করা দরকার যে কোন উপদেষ্টা কি ধরনের অপকর্ম কবে করেছে এবং সেই অপকর্মের ধরণ কী। তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা আমরা আসলে এক্সপেক্ট করি। বেশিরভাগ উপদেষ্টাই ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে আছে। কেউ কেউ বিদেশ থেকেও এসেছেন, যিনি বিদেশে একেবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করা চাকরিরত।

 

সরকারের খুবই ইনফ্লুয়েনশিয়াল ব্যক্তিবর্গ অনেকেই আছেন। যারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়তো নন কিংবা থাকলেও তাদের আরো একটি দেশের নাগরিকত্ব আছে। সো এই সরকারটা পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই দেখবেন অনেকেই আর বাংলাদেশে নাই।’ রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ‘একটা কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, আমরা প্রত্যেকে যার যার ফিল্ডে যথেষ্ট ভালো করছি আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে। মানে প্রত্যেকের একটা নিজস্ব পরিচয় আছে এবং সেটা আমরা কেউ অস্বীকার করি না। তারা আবার যার যার কাজে ফিরে যাবেন এই কথা প্রধান উপদেষ্টা বহুদিন আগে থেকেই বলছেন। সো যাদের আসলে বিদেশের নাগরিকত্ব আছে এবং যারা বিদেশে একটা সেটেল লাইফ লিড করতে করতে বাংলাদেশে এসেছেন ৫ই আগস্টের পর, তারা আবার সেই পুরনো জীবনে ফিরে যাবেন। এটা খুব অবাক হওয়ার কিছু নাই। আর যাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ নাই তাদের মেজরিটির ছেলেমেয়েরাই বাইরে সেটেল। সো তারাও শেষ জীবনে যদি কোনো রকম কোনো বিপদের আভাস পান, বিদেশে চলে যাবেন। এটাতেও খুব অবাক হবার কিছু নাই।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com