ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫: গেমিংয়ে প্রয়োজন স্পিড—একটু ল্যাগ বা ফ্রেমড্রপই বদলে দিতে পারে জয়ের গল্প। ব্যস্ত দিনের পরে একটু বিনোদনের আশায় যখন গেমিংয়ের জগতে হারিয়ে যেতে মন চায় তখন ফোনের ধীরগতি বা অতিরিক্ত তাপমাত্রা নষ্ট করে দিতে পারে পুরো অভিজ্ঞতাকে। এই সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান নিয়ে এসেছে ভিভো ভি৬০ লাইট।
গেমিং এ স্পিড ও স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স যোগ করতে ভি৬০ লাইটে যোগ হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩৬০ টার্বো প্রসেসর। যা, গেমিং ও ডে-টু-ডে পারফরম্যান্সে যোগ করবে নতুন মাত্রা। ভারী গেমে আল্ট্রা-স্মুথ, ল্যাগ-ফ্রি অভিজ্ঞতা দিতে এতে আছে উন্নত ৪ ন্যানোমিটার ফাইভজি চিপসেট। ফোনটির সিপিইউ মাল্টি-কোর পারফরম্যান্স নির্ধারিত কাজের ধরন অনুযায়ী বাড়তে পারে ৪৯% পর্যন্ত।
ফোনটি দিয়ে টানা ৩ ঘন্টা ৯০ এফপিএস পর্যন্ত মসৃণ ও স্থিতিশীল গেমপ্লে করা যায়। এছাড়াও, একাধিক অ্যাপ একসাথে চলতে সাহায্য করে এর স্মার্ট অপ্টিমাইজেশন সিস্টেম। পাশাপাশি দেয় ৬০ মাস পর্যন্ত স্মুথ এক্সপেরিয়েন্সের নিশ্চয়তা। ১২ জিবি র্যামের সাথে ১২ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম এবং ২৫৬ জিবি রম থাকায় বড় কোনো ফাইল, হাই-এন্ড গেম ও এইচডি মুভি বা কনটেন্ট সংরক্ষণে আছে যথেষ্ট স্টোরেজ।
তবে, গেমে স্পিড আর স্কিলের সাথে প্রয়োজন একটি লং লাস্টিং ব্যাটারি। মাত্র ৭.৫৯ মি.মি. ডিজাইনের আল্ট্রা স্লিম এই ফোনে আছে ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর শক্তিশালী ব্লুভোল্ট ব্যাটারি। টানা ১৬ ঘন্টা স্ট্রিমিং, গেমিং ও চ্যাটিং নির্বিঘ্নে করা যাবে ভি৬০ লাইট দিয়ে। আর একটানা ১২ ঘন্টা খেলা যাবে পাবজি। তবে আকর্ষণের ব্যাপার হলো বাইপাস চার্জিং সুবিধা থাকায় ফোনের ব্যাটারি এড়িয়ে সরাসরি চার্জার থেকেই চলবে ফোন। এতে করে ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে বাঁচবে। আর চার্জার সংযোগ করেই গেমিং করা যাবে লম্বা সময় ধরে। ফোনটিতে ৫ বছরের ব্যাটারি হেলথ-এর নিশ্চয়তা দিচ্ছে ভিভো।
ভিভো ভি৬০ লাইট তৈরী হয়েছে ট্রাভেলের পারফেক্ট সঙ্গী হিসেবে। দিনের শেষে যেখানেই থাকুন না কেন ভি৬০ লাইট দিবে সম্পূর্ণ সাপোর্ট। সাথে সারাদিনের যেকোনো মোমেন্ট গুলো ক্যাপচার করতে ভি সিরিজের ক্যামেরা সম্পূর্ণ ভরসা। সাথে থাকছে বিভিন্ন অ্যাডভান্সড এআই অপশন।
ফোরজি ও ফাইভজি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এই ফোনটি। সব মিলিয়ে, গেমিং বা ট্রাভেল কিংবা প্রতিদিনের যেকোনো কাজ সামলাতে ভিভো ভি৬০ লাইট এক কথায় অসাধারণ।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।