ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রশিবির এমন দেশপ্রেমিক তৈরি করে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়—যেখানে জুলুম, নির্যাতন ও লুটপাটের কোনো স্থান থাকে না।
সোমবার ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখা ও সাতক্ষীরা শহর শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, যারা ১৫ বছর ধরে দেশপ্রেমের বুলি আওড়িয়েছে, তারাই দেশের সম্পদ লুট করেছে, খুন ও গুমের রাজনীতি চালিয়েছে। ছাত্রশিবির এমন ভুয়া দেশপ্রেম চায় না। আমরা এমন তরুণ তৈরি করতে চাই যারা নৈতিকতা, আদর্শ ও সত্যের পথে থাকবে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরে যোগ দেওয়া কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে শিবির সম্পর্কে জানাটা জ্ঞানচর্চার অংশ। শিক্ষার্থীরা যা পছন্দ করবে, সেটাই গ্রহণ করবে। আমরা চাই তোমরা সবাই সফল দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে ওঠো।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখায়, লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখায়। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
নারী ইস্যু নিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরকে নারী বিদ্বেষী হিসেবে প্রচার করা হয়, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইসলাম নারীদের সর্বাধিক অধিকার দিয়েছে, আর শিবির সেই নীতিতেই ছাত্রী বোনদের সমান মর্যাদা দেয়। এমনকি হিন্দু ভাই-বোনদের সহযোগিতাতেও শিবির সবসময় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা করেন সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেম, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, বুয়েটের শিক্ষার্থী ইরফান হাসান সাকিব, শহর শিবির সভাপতি আল মামুন, সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, শহর শিবির সেক্রেটারি মেহেদী হাসান এবং নবীন শিক্ষার্থী শানজিন নাহার শুভা ও তাসনিম আলম প্রমুখ।
এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. মিয়ারাজ হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. শাহিনুর রহমান, উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।