পর্ব-১ খুলি রহস্য

ছবি সংগৃহীত

 

ইকবাল খন্দকার :মামুন দেশে ফিরেছে সাত বছর পর। এই সময়টা সে কাটিয়েছে উট-দুম্বার সঙ্গে। আর না। বাকি জীবন সে কাটাতে চায় মার সঙ্গে। এ মুহূর্তে যার একমাত্র ইচ্ছে- ছেলের বউ দেখা। মার ইচ্ছে পূরণের সদিচ্ছা থাকলেও প্রকাশ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না মামুন। নিজের বউ নিজে খুঁজবে- নাহ, কেমন জানি লজ্জা লাগছে। অথচ আধুনিক জামানার একটা ছেলের ক্ষেত্রে এমন লজ্জা বেমানান। তার পরিচিতদের মধ্যে কতজন নিজের বউ নিজে খুঁজে নিয়েছে!

 মা এখন রান্না করছেন। আর মামুন বিলে গেছে ঠেলাজাল নিয়ে। তাদের পুরনো আর ঐতিহ্যবাহী ঠেলাজাল। দেশে থাকতে এই জাল দিয়ে সে কত মাছ ধরেছে! মা বুঝতে পারছেন না মামুন এত দেরি কেন করছে। এত দেরি করলে রান্না শেষ হবে কখন? মা চুলা নিভিয়ে ফেলেন। তারপর হাঁটা দেন বিলের দিকে। কিন্তু উঠানের বাইরে যেতে হয় না তাকে। দশ-বারো কদম এগোতেই দেখেন মামুন আসছে। তবে মুখ গোমড়া। কেন? আর জালই বা কোথায়?

 মা মামুনের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন দুটি করতেই সে জানায় জালটা বিলেই ফেলে রেখে এসেছে। কারণ, জালে একটা খুলি উঠেছিল। মানুষের মাথার খুলি। মার চেহারা ভয়ার্ত হয়ে ওঠে। তার ঠোঁট নড়তে থাকে। বোঝা যায়, তিনি দোয়া-কালাম পড়ছেন। মামুন বলে- আমি খুলিসহ জালটা রাইখা আসছি। ইচ্ছা করলে খুলিটা ফালায়া দিয়া জাল নিয়া চইলা আসতে পারতাম। কিন্তু বিবেকে বাধা দিল। মানুষের খুলি তো! একবার মনে হইছিল বাড়িতে নিয়া আসি। কিন্তু পরে ভাবলাম, আপনে যদি কিছু কন! এখন একটু আসেন আমার সাথে।

 

ছেলের সঙ্গে বিলপাড় যান মা। তবে খুলিটা দেখে চমকান না, ভয়ও পান না। বরং তাকিয়ে থাকেন গভীর কষ্ট আর মমতা নিয়ে। এরপর ছেলেকে পরামর্শ দেন পুরনো কোনো কবরের ভেতর যেন রেখে আসে খুলিটা। হতে পারে সেটা নিজের স্বামীর কবর। মা বাড়ি ফিরে যান। আর মামুন খুলিটা নিয়ে চলে যায় কবরস্থানে। বসে বাবার কবরের পাশে। এতক্ষণ ধরে কেবল ডানহাত দিয়ে ধরে রাখা খুলিটায় এবার সে বামহাতও লাগায়। তারপর সযত্নে রেখে দেয় কবরের মাঝামাঝি স্থানে। এবার ওঠার পালা। কিন্তু উঠতে গিয়ে মামুনের মনে হয় কে যেন নিঃশ্বাস ফেলেছে। সে চারপাশে তাকায়। কিন্তু কিছু দেখে না, কাউকে দেখে না।

বাড়ি ফিরে গোসল সেরে খেতে বসে মামুন। মা প্লাস্টিকের জগের পানিতে স্টিলের গ্লাস টইটম্বুর করে বলেন- কালকা তুই আমার সাথে এক জায়গায় যাবি। কই যাবি, কার বাড়ি যাবি, কার সাথে কথা কইতে যাবি, এইগুলা এখনই কইতে চাই না। এই জন্য জিগাইস না। গেলেই দেখতে পাইবি। কালকা সকাল সকাল রওনা দিয়া দিতে হইবো। যাইতে এক ঘণ্টা লাগতে পারে। আর ওইখানে দুপুরের খাবার খাইতে হইবো। না খাওয়ায়া ছাড়বো না। আগেই কইয়া রাখছে।

মামুন অনুমান করতে পারে, মা তাকে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবেন। তাই সে চুপ থাকে। তারপর খাওয়া শেষ হলে মাকে খাওয়ার তাগাদা দিয়ে গিয়ে শুয়ে পড়ে তার বিছানায়ই। আর ঘুমিয়ে পড়তেও সময় নেয় না সে। মামুনের যখন ঘুম ভাঙে, তখন চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। একটু পরেই হয়তো মাগরিবের আজান পড়বে। সে বালিশ থেকে মাথা তুলে মাকে খোঁজে। পায় না। ডাক দেয়। সাড়া মেলে না। মামুন খাট থেকে নেমে পড়ে। তারপর দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে তাকাতেই তার চোখ চলে যায় নিজের থাকার ঘরের খোলা জানালার দিকে।

ঘরের ভেতর কাউকে দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই মা। কিন্তু দরজা বন্ধ কেন? অন্ধকার ঘরে তিনি কী করছেন? মামুন উঠানে নামে। এগিয়ে যায় তার ঘরের দিকে। দেখে কেউ একজন খাটে বসে আছে পা ঝুলিয়ে। পরনে সাদা শাড়ি। কিন্তু মুখ দেখা যাচ্ছে না। দেখা না যাওয়ার দু কারণ। অন্ধকার এবং লম্বা ঘোমটা। তবে মুখ দেখতে না পেলেও মামুন ইতোমধ্যে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে, মানুষটা মা ছাড়া আর কেউ না। যেহেতু তার একাধিক সাদা শাড়ি আছে।

হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় মামুন। কারণ, তার চোখ পড়েছে দরজার ওপর। সে দেখতে পেয়েছে দরজাটা বন্ধ করা বাইরে থেকে। শেকল টেনে দরজা বন্ধ করে রাখা অন্ধকার ঘরে মা বসে থাকবেন, তা তো হতেই পারে না। অথচ এমনভাবে বসে আছেন, যেন ধ্যান করছেন। মামুনকে প্রশ্ন করে কেউ। জানতে চায় সে ঘুম থেকে কখন উঠেছে। মামুন পেছনে তাকায়। দেখে মা দাঁড়ানো। বিস্ময়ে চোখ চড়কগাছ হয়ে যায় তার। এরপর আবার নিজের ঘরের খোলা জানালার দিকে তাকাতেই দেখে সাদা শাড়ি পরিহিতা নেই।

গভীর রাত। ঘুমুতে চেষ্টা করছে মামুন। কিন্তু পারছে না। কারণ, সাদা শাড়ি পরিহিতার চিন্তাটা বারবার মাথায় আসতে চাচ্ছে তার। আর সে চাচ্ছে যে কোনোভাবে এর আসার পথ রুদ্ধ করতে। কারণ, এ চিন্তা এখন মাথায় ঢুকে পড়লে সরাতে সরাতে ভোর হয়ে যাবে। মামুন চোখ চেপে ধরে শুয়ে থাকে। তারপর একসময় ঘুমিয়ে পড়ে সে। হঠাৎ খাটটা মড়মড়িয়ে ওঠে। সাধারণত খাটে কেউ বসলে এমন আওয়াজ হয়। মামুনের চোখ খুলে যায়। কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায় না।

আবার ঘুমিয়ে পড়ে মামুন। তবে অল্পক্ষণের মাথায়ই চোখ খুলে ফেলতে হয় তাকে। উঠে বসতে হয় হুড়মুড়িয়ে। কারণ, সেই শব্দটা সে আবার শুনেছে। বেশ পরিষ্কারভাবেই শুনেছে। খাট মড়মড়ানোর শব্দ না। নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ। যে শব্দ সে শুনেছিল খুলিটা কবরে রাখার সময়। মামুন বাতি জ্বালায়। জিজ্ঞেস করতে থাকে- কেডা? কেডা? কিন্তু কোনো জবাব তো পায়ই না, আর কোনো শব্দও পায় না। তবু সে শুতে পারে না। চাপা আতঙ্ক তাকে শুতে দেয় না। [চলবে]

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘুমের প্রতিযোগিতা

» ১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ

» সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

» আজ রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকবে

» আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

» সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য এবং শক্তির প্রতিক-ধর্মমন্ত্রী

» বাংলাদেশ ‘বিশ্ব ব্যাংক ভূমি সম্মেলন ২০২৪’-এ স্মার্ট ভূমিসেবা কার্যক্রম তুলে ধরেছে

» বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

» বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ইজারা দিয়ে আশানুরূপ ফলাফল মেলেনি: পাটমন্ত্রী

» ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই’

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পর্ব-১ খুলি রহস্য

ছবি সংগৃহীত

 

ইকবাল খন্দকার :মামুন দেশে ফিরেছে সাত বছর পর। এই সময়টা সে কাটিয়েছে উট-দুম্বার সঙ্গে। আর না। বাকি জীবন সে কাটাতে চায় মার সঙ্গে। এ মুহূর্তে যার একমাত্র ইচ্ছে- ছেলের বউ দেখা। মার ইচ্ছে পূরণের সদিচ্ছা থাকলেও প্রকাশ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না মামুন। নিজের বউ নিজে খুঁজবে- নাহ, কেমন জানি লজ্জা লাগছে। অথচ আধুনিক জামানার একটা ছেলের ক্ষেত্রে এমন লজ্জা বেমানান। তার পরিচিতদের মধ্যে কতজন নিজের বউ নিজে খুঁজে নিয়েছে!

 মা এখন রান্না করছেন। আর মামুন বিলে গেছে ঠেলাজাল নিয়ে। তাদের পুরনো আর ঐতিহ্যবাহী ঠেলাজাল। দেশে থাকতে এই জাল দিয়ে সে কত মাছ ধরেছে! মা বুঝতে পারছেন না মামুন এত দেরি কেন করছে। এত দেরি করলে রান্না শেষ হবে কখন? মা চুলা নিভিয়ে ফেলেন। তারপর হাঁটা দেন বিলের দিকে। কিন্তু উঠানের বাইরে যেতে হয় না তাকে। দশ-বারো কদম এগোতেই দেখেন মামুন আসছে। তবে মুখ গোমড়া। কেন? আর জালই বা কোথায়?

 মা মামুনের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন দুটি করতেই সে জানায় জালটা বিলেই ফেলে রেখে এসেছে। কারণ, জালে একটা খুলি উঠেছিল। মানুষের মাথার খুলি। মার চেহারা ভয়ার্ত হয়ে ওঠে। তার ঠোঁট নড়তে থাকে। বোঝা যায়, তিনি দোয়া-কালাম পড়ছেন। মামুন বলে- আমি খুলিসহ জালটা রাইখা আসছি। ইচ্ছা করলে খুলিটা ফালায়া দিয়া জাল নিয়া চইলা আসতে পারতাম। কিন্তু বিবেকে বাধা দিল। মানুষের খুলি তো! একবার মনে হইছিল বাড়িতে নিয়া আসি। কিন্তু পরে ভাবলাম, আপনে যদি কিছু কন! এখন একটু আসেন আমার সাথে।

 

ছেলের সঙ্গে বিলপাড় যান মা। তবে খুলিটা দেখে চমকান না, ভয়ও পান না। বরং তাকিয়ে থাকেন গভীর কষ্ট আর মমতা নিয়ে। এরপর ছেলেকে পরামর্শ দেন পুরনো কোনো কবরের ভেতর যেন রেখে আসে খুলিটা। হতে পারে সেটা নিজের স্বামীর কবর। মা বাড়ি ফিরে যান। আর মামুন খুলিটা নিয়ে চলে যায় কবরস্থানে। বসে বাবার কবরের পাশে। এতক্ষণ ধরে কেবল ডানহাত দিয়ে ধরে রাখা খুলিটায় এবার সে বামহাতও লাগায়। তারপর সযত্নে রেখে দেয় কবরের মাঝামাঝি স্থানে। এবার ওঠার পালা। কিন্তু উঠতে গিয়ে মামুনের মনে হয় কে যেন নিঃশ্বাস ফেলেছে। সে চারপাশে তাকায়। কিন্তু কিছু দেখে না, কাউকে দেখে না।

বাড়ি ফিরে গোসল সেরে খেতে বসে মামুন। মা প্লাস্টিকের জগের পানিতে স্টিলের গ্লাস টইটম্বুর করে বলেন- কালকা তুই আমার সাথে এক জায়গায় যাবি। কই যাবি, কার বাড়ি যাবি, কার সাথে কথা কইতে যাবি, এইগুলা এখনই কইতে চাই না। এই জন্য জিগাইস না। গেলেই দেখতে পাইবি। কালকা সকাল সকাল রওনা দিয়া দিতে হইবো। যাইতে এক ঘণ্টা লাগতে পারে। আর ওইখানে দুপুরের খাবার খাইতে হইবো। না খাওয়ায়া ছাড়বো না। আগেই কইয়া রাখছে।

মামুন অনুমান করতে পারে, মা তাকে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবেন। তাই সে চুপ থাকে। তারপর খাওয়া শেষ হলে মাকে খাওয়ার তাগাদা দিয়ে গিয়ে শুয়ে পড়ে তার বিছানায়ই। আর ঘুমিয়ে পড়তেও সময় নেয় না সে। মামুনের যখন ঘুম ভাঙে, তখন চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। একটু পরেই হয়তো মাগরিবের আজান পড়বে। সে বালিশ থেকে মাথা তুলে মাকে খোঁজে। পায় না। ডাক দেয়। সাড়া মেলে না। মামুন খাট থেকে নেমে পড়ে। তারপর দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে তাকাতেই তার চোখ চলে যায় নিজের থাকার ঘরের খোলা জানালার দিকে।

ঘরের ভেতর কাউকে দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই মা। কিন্তু দরজা বন্ধ কেন? অন্ধকার ঘরে তিনি কী করছেন? মামুন উঠানে নামে। এগিয়ে যায় তার ঘরের দিকে। দেখে কেউ একজন খাটে বসে আছে পা ঝুলিয়ে। পরনে সাদা শাড়ি। কিন্তু মুখ দেখা যাচ্ছে না। দেখা না যাওয়ার দু কারণ। অন্ধকার এবং লম্বা ঘোমটা। তবে মুখ দেখতে না পেলেও মামুন ইতোমধ্যে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে, মানুষটা মা ছাড়া আর কেউ না। যেহেতু তার একাধিক সাদা শাড়ি আছে।

হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় মামুন। কারণ, তার চোখ পড়েছে দরজার ওপর। সে দেখতে পেয়েছে দরজাটা বন্ধ করা বাইরে থেকে। শেকল টেনে দরজা বন্ধ করে রাখা অন্ধকার ঘরে মা বসে থাকবেন, তা তো হতেই পারে না। অথচ এমনভাবে বসে আছেন, যেন ধ্যান করছেন। মামুনকে প্রশ্ন করে কেউ। জানতে চায় সে ঘুম থেকে কখন উঠেছে। মামুন পেছনে তাকায়। দেখে মা দাঁড়ানো। বিস্ময়ে চোখ চড়কগাছ হয়ে যায় তার। এরপর আবার নিজের ঘরের খোলা জানালার দিকে তাকাতেই দেখে সাদা শাড়ি পরিহিতা নেই।

গভীর রাত। ঘুমুতে চেষ্টা করছে মামুন। কিন্তু পারছে না। কারণ, সাদা শাড়ি পরিহিতার চিন্তাটা বারবার মাথায় আসতে চাচ্ছে তার। আর সে চাচ্ছে যে কোনোভাবে এর আসার পথ রুদ্ধ করতে। কারণ, এ চিন্তা এখন মাথায় ঢুকে পড়লে সরাতে সরাতে ভোর হয়ে যাবে। মামুন চোখ চেপে ধরে শুয়ে থাকে। তারপর একসময় ঘুমিয়ে পড়ে সে। হঠাৎ খাটটা মড়মড়িয়ে ওঠে। সাধারণত খাটে কেউ বসলে এমন আওয়াজ হয়। মামুনের চোখ খুলে যায়। কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায় না।

আবার ঘুমিয়ে পড়ে মামুন। তবে অল্পক্ষণের মাথায়ই চোখ খুলে ফেলতে হয় তাকে। উঠে বসতে হয় হুড়মুড়িয়ে। কারণ, সেই শব্দটা সে আবার শুনেছে। বেশ পরিষ্কারভাবেই শুনেছে। খাট মড়মড়ানোর শব্দ না। নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ। যে শব্দ সে শুনেছিল খুলিটা কবরে রাখার সময়। মামুন বাতি জ্বালায়। জিজ্ঞেস করতে থাকে- কেডা? কেডা? কিন্তু কোনো জবাব তো পায়ই না, আর কোনো শব্দও পায় না। তবু সে শুতে পারে না। চাপা আতঙ্ক তাকে শুতে দেয় না। [চলবে]

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com