আজ (শনিবার, ৬ আগস্ট) বাংলা ২২ শ্রাবণ, ১৪২৯। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস। বাংলা ১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলা একাডেমি অনলাইনে প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে।
জীবনের শেষ নববর্ষে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তার সাধের শান্তিনিকেতনে। সেদিন তার কলমে রচিত হয়েছিল ‘সভ্যতার সংকট’ নামে অমূল্য লেখাটি। তারও ক’দিন পর ১৯৪১ সালেরই ১৩ মে লিখে রাখলেন, রোগশয্যায় শুয়েই ‘আমারই জন্মদিন মাঝে আমি হারা’। শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের আশ্রম বালক-বালিকাদের ভোরের সংগীত অর্ঘ্য গ্রহণ করেন তার উদয়ন গৃহের পুবের জানালার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে ওঠে কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিলো দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হলো আজ’।
আগস্টের প্রথম দিন দুপুর থেকেই রবীন্দ্রনাথের ‘হিক্কা’ শুরু হয়। কবি কাতর স্বরে তখন উপস্থিত সবাইকে বলেছিলেন, ‘একটা কিছু করো, দেখতে পাচ্ছো না কী রকম কষ্ট পাচ্ছি।’ পরের দিন হিক্কা থামানোর জন্য ময়ূরের পালক পুড়িয়ে খাওয়ালেও লাভ হলো না। আগস্টের ৩ তারিখ থেকে কিডনিও নিঃসাড় হয়ে পড়ে।
৬ আগস্ট রাখি পূর্ণিমার দিন কবিকে পূর্বদিকে মাথা করে শোয়ানো হলো। পরদিন (২২ শ্রাবণ, ৭ আগস্ট) রবীন্দ্রনাথের কানের কাছে জপ করা হলো ব্রাহ্মমন্ত্র। বেলা ১২টা বেজে ১০ মিনিট, অমৃতআলোকে চলে গেলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।