হঠাৎ কুকুর কামড়ালে দ্রুত যা করবেন

কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় তা সবারই জানা। জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কুকুরের কামড়ানোর পর ঠিকমতো ব্যবস্থা না নিলে প্রাণহানী হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

 

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ প্রতিবছর এই রেবিস জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পরিসংখ্যান আরও বেশি হওয়ার কথা।

আসলে কুকুর কামড়ালে শরীরে রেবিস নামক এক ধরনের মারাত্মক জীবাণু প্রবেশ করে। এর থেকেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। আপনার বাড়িতে পোষ্য কুকুর থাকলে তাকেও টিকা দেওয়া উচিত।

 

তবে রাস্তার কুকুরের সেই ভ্যাকসিন দেওয়া থাকে না। তাই রাস্তার কুকুর কামড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে নির্ঘাত জলাতঙ্ক! জেনে নিন কুকুর কামড়ানোর পর কী করা জরুরি-

 

যেখানে কুকুর দাঁত বসিয়েছে বা আঁচড়েছে সেই জায়গা ভালো করে ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করুন। তাহলে ওই স্থানের ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু দূর হয়ে যাবে।

 

চাইলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়েও জায়গাটা পরিষ্কার করতে পারেন। তারপর সেখানো ডেটল লাগান। এরপর ব্যান্ডেজ করে নিন।

শুকনো মরিচ ওই স্থানে লাগাতে পারেন। এটি কষ্টকর হলেও ওই অংশের বিষ নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি এই কারণে বিষ শরীরের অন্যান্য অংশে দ্রুত ছড়াতে পারে না।

 

ব্যবহার করতে পারেন আয়ুর্বেদিক দাওয়াই। এজন্য পেঁয়াজের রস, আখরোট বাটা, মধু ও লবণ মিশিয়ে কুকুর কামড়ানোর জায়গায় লাগান। এর ফলে বিষক্রিয়া অনেকটাই কমবে। তবে এই পেস্ট লাগানোর পর অবশ্যই জায়গা ব্যান্ডেজ করে দিন।

 

রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা কুকুরের কামড় নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। এজন্য রসুনের রসের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করুন।

 

কুকুরের কামড়ের ক্ষত নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এক ঘরোয়া চিকিৎসা হলো সরিষার তেলের ব্যবহার। কামড়ানো জায়গায় সরিষার তেল লাগিয়ে কার্যকর ফল পেতে পারেন। এর অ্যান্টিমাইক্রোবাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

 

কুকুরের কামড়ের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আক্রান্ত স্থানে নিম ও হলুদের পেস্ট লাগাতে পারেন। নিম ও হলুদের অনেক ওষুধি গুণাগুন আছে।

 

মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে। তাই মধু হতে পারে এক্ষেত্রে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। এই পরিস্থিতিতে সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজের রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর তা সেই জায়গায় লাগান।

 

তবে যা-ই করুন না কেন, টিকা (রেবিস ভ্যাকসিন) অবশ্যই নিতে হবে। কারণ এই রোগ থেকে বাঁচার অন্যতম দাওয়াই হেলো টিকা। এক্ষেত্রে কুকুর কামড়ানোর দিনই দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে এই টিকা নিতে হবে।  সূত্র: ওয়েবএমডি/ওনলি মাই হেলথ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত

» পুনর্মিলনী আয়োজনের লক্ষ্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির সভা

» পুঁজিবাজারে প্রধান উপদেষ্টার ৫ টনিক, অপেক্ষায় ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীরা

» ফেসবুক পে-আউট সেটআপে ভুল হলে যা করবেন

» ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও নগরভবন অবরোধ

» বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু শুক্রবার

» আইপিএলে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে যারা

» কাঁচা কাঁঠাল কেন খাবেন?

» পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ

» সীমান্ত থেকে চারটি সোনার বারসহ দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হঠাৎ কুকুর কামড়ালে দ্রুত যা করবেন

কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় তা সবারই জানা। জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কুকুরের কামড়ানোর পর ঠিকমতো ব্যবস্থা না নিলে প্রাণহানী হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

 

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ প্রতিবছর এই রেবিস জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পরিসংখ্যান আরও বেশি হওয়ার কথা।

আসলে কুকুর কামড়ালে শরীরে রেবিস নামক এক ধরনের মারাত্মক জীবাণু প্রবেশ করে। এর থেকেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। আপনার বাড়িতে পোষ্য কুকুর থাকলে তাকেও টিকা দেওয়া উচিত।

 

তবে রাস্তার কুকুরের সেই ভ্যাকসিন দেওয়া থাকে না। তাই রাস্তার কুকুর কামড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে নির্ঘাত জলাতঙ্ক! জেনে নিন কুকুর কামড়ানোর পর কী করা জরুরি-

 

যেখানে কুকুর দাঁত বসিয়েছে বা আঁচড়েছে সেই জায়গা ভালো করে ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করুন। তাহলে ওই স্থানের ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু দূর হয়ে যাবে।

 

চাইলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়েও জায়গাটা পরিষ্কার করতে পারেন। তারপর সেখানো ডেটল লাগান। এরপর ব্যান্ডেজ করে নিন।

শুকনো মরিচ ওই স্থানে লাগাতে পারেন। এটি কষ্টকর হলেও ওই অংশের বিষ নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি এই কারণে বিষ শরীরের অন্যান্য অংশে দ্রুত ছড়াতে পারে না।

 

ব্যবহার করতে পারেন আয়ুর্বেদিক দাওয়াই। এজন্য পেঁয়াজের রস, আখরোট বাটা, মধু ও লবণ মিশিয়ে কুকুর কামড়ানোর জায়গায় লাগান। এর ফলে বিষক্রিয়া অনেকটাই কমবে। তবে এই পেস্ট লাগানোর পর অবশ্যই জায়গা ব্যান্ডেজ করে দিন।

 

রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা কুকুরের কামড় নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। এজন্য রসুনের রসের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করুন।

 

কুকুরের কামড়ের ক্ষত নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এক ঘরোয়া চিকিৎসা হলো সরিষার তেলের ব্যবহার। কামড়ানো জায়গায় সরিষার তেল লাগিয়ে কার্যকর ফল পেতে পারেন। এর অ্যান্টিমাইক্রোবাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

 

কুকুরের কামড়ের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আক্রান্ত স্থানে নিম ও হলুদের পেস্ট লাগাতে পারেন। নিম ও হলুদের অনেক ওষুধি গুণাগুন আছে।

 

মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে। তাই মধু হতে পারে এক্ষেত্রে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। এই পরিস্থিতিতে সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজের রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর তা সেই জায়গায় লাগান।

 

তবে যা-ই করুন না কেন, টিকা (রেবিস ভ্যাকসিন) অবশ্যই নিতে হবে। কারণ এই রোগ থেকে বাঁচার অন্যতম দাওয়াই হেলো টিকা। এক্ষেত্রে কুকুর কামড়ানোর দিনই দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে এই টিকা নিতে হবে।  সূত্র: ওয়েবএমডি/ওনলি মাই হেলথ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com