ভবিষ্যতের কথা যারা চিন্তা করেন, তারা সবসময় নিজের আয়ের থেকে কিছু অংশ সঞ্চয় করেন। নইলে সুন্দর ভবিষ্যৎ কখনোই অর্জন সম্ভব হবে না। তাই আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বিষয়টা সব সময়ই মাথায় রাখা উচিত। মনে রাখবেন, ভবিষ্যত কতটা সুখের হবে, তা একেবারেই নির্ভর করে আপনার সঞ্চয়ের উপর।
কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক চেষ্টা করেও সঞ্চয় করতে পারেন না। হাজারো চেষ্টা করে কিছুতেই খরচ কমাতে পারেন না। এই সমস্যায় যারা ভুগছেন, তা নিশ্চয়ই ভাবছেন কী করবেন? প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এ বিষয়ে প্ল্যানিং অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে বদলে ফেলা উচিত কিছু বদভ্যাসও। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপায় যা আপনার সঞ্চয় বাড়াতে সহায়তা করবে-
প্রত্যেক মাসে একটা বাজেট করে নিন। সেই অনুযায়ী, একটা তালিকা তৈরি করুন। কোন খাতে, কত টাকা লাগবে, তা ছকে নিন। প্রয়োজনে প্রত্যেক খাতের জন্য আলাদা আলাদা খাম রাখুন। সেই খামেই রেখে দিন টাকা। যেমন, বিদ্যুতের বিল, পরিচারিকাদের টাকা, বাজার খরচ ইত্যাদি ইত্য়াদি। এরপর একটা খাম রাখুন সেভিংসের জন্য। এই খসড়াটা সেরে নিতে পারেন মোবাইল ফোনেও। খরচের তালিকা থাকলে বুঝতে পারবেন কবে, কোথায়, কীভাবে সামাল দিতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের যুগে অনেকেই খরচার কথা না ভেবে কেনা-কাটা করে ফেলেন। অনলাইন শপিং এই নেশাকে দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে। সঞ্চয় করতে হলে প্রথমেই এই নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত শপিং অ্যাপ ডিলিট করে দিন। প্রয়োজন না পরলে, শপিং থেকে নিজেকে দূরেই রাখুন।
যে দূরত্ব হেঁটেই যাওয়া যায়, সেখানে হেঁটেই যান। অযথা অটো, রিক্সা নেয়ার প্রয়োজন নেই। এতে সঞ্চয় হবে এবং স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
ইদানিং দেখা গিয়েছে, ঘরের খাবার খেতে অনেকেই পছন্দ করছেন না। তার পরিবর্তে ফুড অ্যাপে অর্ডার বা রেস্তরাঁয় গিয়ে লাঞ্চ বা ডিনার সেরে ফেলছেন। এই ধরনের অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ না করলে, কখনই সঞ্চয় করা সম্ভব হবে না। নানারকম খাবার ইচ্ছে হলে, নিজেই বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন। এ ব্যাপারে অনলাইনে নানা রেসিপি দেখে নিন। নিজের হাতে নতুন ধরনের রান্না করলে দেখবেন মনও ভালো থাকবে।
সিগারেট বা অন্য কোনো নেশা থাকলে, খরচার কথা মাথায় রেখে কমাতে শুরু করুন। হিসাব করে দেখুন দিনে কত টাকার সিগারেট খাচ্ছেন। সেই অনুযায়ী, মাসের হিসাব করলেই, আপনার খরচার অংক একেবারেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।