যশোরে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনি দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছেন। এরই মধ্যে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কারণ উদঘাটন করেছে।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহম্মেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধনির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। ঐ দ্বন্দ্বের জেরে মানুয়ার মেয়ের জামাই ইয়াসিন হত্যা মামলায় ধনিকে আসামি করা হয়। সর্বোপরি এলাকায় দলীয় কোন্দল আর রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে ধনিকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বদিউজ্জামান ধনিকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দুইজনকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। তারা হলেন, এক নম্বর আসামি শহরের রেলরোড এলাকার ফরিদ মুন্সির ছেলে রায়হান ও শংকরপুর এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর।
এদিকে পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে।