ফাইল ছবি
হাজীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবা আকতার হোসেনকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে সাকিবের (২৪) বিরুদ্ধে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় সরকার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, গভীর রাতে আকতার হোসেন তার ছেলে সাকিবের স্ত্রীকে বকাঝকা করে। এ ঘটনার পর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিব তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুটি কোপ দেয়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করার কথা বলে গোপনে ভোরে আকতারের মরদেহ দাফন করার প্রস্তুতি নেয় পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সংবাদ পেয়ে সকালে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, আকতার সরকারের ছেলে সাকিব প্রেম করে বিয়ে করে ফারহানা নামের নামের এক মেয়েকে। বিয়েতে সম্মতি ছিল না তার পরিবারের। এ নিয়ে প্রায় সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। মূলত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড হয়।
ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, বিষয়টি পারিবারিক কলহ থেকেই ঘটেছে। রাতেই আকতার সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে তার ছেলে সাকিব সরকার। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডাক্তারকে বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। সেখান থেকে রেফার করা হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে। পথেই মারা যান তিনি। পরে ভোরে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতির পূর্বে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির মরদেহ আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।