গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের অপবাদে সোহেল ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. যোবায়ের।
নিহত সোহেল উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহাদুরসাদী গ্রামের মৃত ছালাম ভূঁইয়ার ছেলে। তার বোন বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।
কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. যোবায়ের বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাম পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও ডান পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
নিহতের ছোট ভাই সোহাগ ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন লোক সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জেরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে সোহেলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে, মুখে গামছা পেঁচিয়ে মারধর করে। এ সময় তারা সোহেলের দুই পায়ের রগ কেটে দেয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, সোহেলকে মারধরের পর তার অবস্থা খারাপ দেখে অভিযুক্তরা তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই সোহেলের মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) অভিজিৎ দাস জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে আহত অবস্থায় প্রতিবেশী পরিচয়ে জুবায়ের ও পনির নামে দুইজন লোক সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এরইমধ্যে সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই দুইজন লোক পালিয়ে যায়। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।,